—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চাষের ক্ষতিপূরণ পেতে আমন ধানের বিমার আবেদন করার ঢল নেমেছে। জেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষি দফতর ও গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন চাষিরা।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ব্যাহত হচ্ছে ধান চাষ। এ বছর জেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লক্ষ ৮৮ হাজার হেক্টর। চাষিরা এ পর্যন্ত ধান রোয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। আমন ধানের চাষ হয় মূলত বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে। জেলায় অগস্টের শেষ পর্যন্ত চাষিরা আমন ধান রোয়ার কাজ করতে পারবেন। গত বছর প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি চাষিরা। কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত খারিফ মরসুমে আমন ধানের জন্য বিমার আবেদন করতে পারবেন চাষিরা। ওই বিমার প্রিমিয়ামের পুরো খরচ দেবে রাজ্য সরকার। গত বছর খারিফ মরসুমে জেলার প্রায় চার লক্ষ ৫৩ হাজার চাষি ধানের জন্য ও সাত লক্ষ ৫৩ হাজার চাষি রবি মরসুমে বিমা করিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় এক লক্ষ ৫৩ হাজার চাষি মোট প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। এ পর্যন্ত জেলার প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার চাষি খারিফ মরসুমে ধান চাষের বিমার আবেদন করেছেন। হরিহরপাড়ার চাষি আসানুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘গত বছর বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছিল। সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলাম। তাই আবার আবেদন করলাম।’’
আমন ধানের ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষিরা বিমার মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। প্রথম ধাপে খরা বা প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে বিজ্ঞাপিত এলাকার ৫০ শতাংশের বেশি জায়গায় রোপণ করতে না পারলে ওই এলাকার বিমাকৃত চাষিরা তাদের বিমার অঙ্কের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। অন্তর্বর্তীকালীন ও মরসুম শেষেও চাষিরা নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, ‘‘বিমার প্রিমিয়ামের জন্য চাষিদের কোনও খরচ নেই। প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে আবেদন করা তাঁদের কাজ। গত বছর অনেক চাষি বিমার টাকা পেয়েছেন। ফলে এ বছর চাষিদের মধ্যে বিমা করানোর আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy