Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Road

দুর্ঘটনায় রাশ টানতে প্রশস্ত হচ্ছে পথ

বৃহস্পতিবার থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

রাস্তার পাশে নীচু জমি।

রাস্তার পাশে নীচু জমি।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০১:১০
Share: Save:

শীতকালে চারিদিক ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। যার জেরে অনেক সময় দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মুর্শিদাবাদ। মঙ্গলবারের রেজনিগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কারণও মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর পাশাপাশি কুয়াশা। তাই দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর থেকে গাড়ি চালকদের যেমন একাধিক পরামর্শ যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই রাস্তার পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের সঙ্গে জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর ডিভিশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সৌতম পাল বৈঠক করেন। সেখানে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া চার লেনের রাস্তা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি আদালতে ঝুলে রয়েছে। সেই মামলার নিস্পত্তি করে দ্রুত কাজের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আজ শুক্রবার জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ভিডিয়ো বৈঠক হওয়ার কথা।

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘কুয়াশার সময়ে সতর্ক না থাকলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য চালকদের নানা পরামর্শ যেমন দেওয়া হচ্ছে। তেমনই পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জমি জট কাটিয়ে যাতে চারলেনের রাস্তার কাজ শুরু করা যায় সে কথাও তাঁদের বলা হয়েছে।’’

পরিবহণ দফতরের পরামর্শ— কুয়াশা পড়লে আবহাওয়া পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত পিচ রাস্তা ছেড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে, গাড়িতে ফগ লাইট লাগাতে হবে, দুরপাল্লার যাত্রিবাহী বাসে দুজন চালক রাখতে হবে, বাঁকের মাথায় গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। মুর্শিদাবাদের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায়ের পরামর্শ, ‘‘ঘন কুয়াশা পড়লে দৃশ্যমানতা কমে যায়। প্রয়োজনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে।’’

কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুরের বলরামপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কের অংশটি জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর ডিভিশনে পড়ে। মুর্শিবাদাদের অংশে রেজিনগরের ছেতিয়ানি, বেলডাঙার ভাবতা ও সাধুখালি এলাকায় প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা চারলেনের কাজ আটকে রয়েছে। ভাবতা ও সাধুখালি অংশটির জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। ফলে ওই সব এলাকায় দুই লেনের রাস্তা রয়েছে। এছাড়া মাটি থেকে এক ফুট উচুতে পিচ রাস্তা রয়েছে। ফলে পিচ রাস্তা থেকে বাইক বা যে কোনও গাড়ি নামাতে গেলে দুর্ঘটনায় পড়ে। রেজিনগরে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানেও মাটি থেকে এক ফুট উচুতে পিচ রাস্তা রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়া পিকআপ ভ্যানটি রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

অন্য বিষয়গুলি:

National Highway Road Reapir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy