Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Erosion

ভাগীরথীর তীরে ভাঙন, আশঙ্কা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পুরসভার জল প্রকল্পের ‘ইনটেক’ পয়েন্টের খুব কাছে ভাঙন হয়েছে। ফলে খুব দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না করলে ইনটেক পয়েন্ট ভগীরথীর জলে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

শান্তিপুরে স্টিমার ঘাটে নদী ভাঙন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

শান্তিপুরে স্টিমার ঘাটে নদী ভাঙন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৭
Share: Save:

আবার নদী ভাঙনের গ্রাসে শান্তিপুর শহর। বুধবার রাতে শান্তিপুরের স্টিমার ঘাটের কাছে ভাগীরথী নদীর তীরে বড়সড় ভাঙন হয়। এই ভাঙনে প্রায় বিঘা খানেক জমি ভাগীরথীর জলে তলিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পুরসভার জল প্রকল্পের ‘ইনটেক’ পয়েন্টের খুব কাছে ভাঙন হয়েছে। ফলে খুব দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না করলে ইনটেক পয়েন্ট ভগীরথীর জলে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে শহরের জল সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

এ ছাড়াও ভাঙনস্থল থেকে মাত্র ৮ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে বেশ কিছু বাড়ি আছে। তলিয়ে যেতে পারে সেই বাড়িগুলিও। স্টিমার ঘাটে আসার রাস্তাও ভাঙনে তলিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা শান্তিপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, “অবস্থা খুবই খারাপ। যে ভাবে বার বার ভাঙন হচ্ছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তে ভাঙনে অনেক কিছুই তলিয়ে যেতে পারে। চরম ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে গোটা এলাকা।”

তিনি জানান, এ দিনের ভাঙনে চাষের জমির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাছ তলিয়ে গিয়েছে নদীর বুকে। একটা প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো বট গাছ রয়েছে ভাঙনস্থল থেকে এক থেকে দেড় মিটার দূরে। বৃন্দাবন বলেন, ‘‘আমরা চাই দ্রুত স্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হোক।”

এর আগে চরসরাগড় এলাকায় ভাঙনে প্রায় সাতটির মতো ঘর তলিয়ে গিয়েছে। অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ১২টির মতো পরিবার। সেখানে অস্থায়ী ভাবে কিছুটা কাজ হলেও স্টিমার ঘাট এলাকায় কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, চলতি বছর এই এলাকায় একাধিক বার ভাঙন হয়েছে। কিন্তু সেচ দফতর থেকে অস্থায়ী ভাবেও কিছু করা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। জেলার সেচ দফতরের আধিকারিক সুরজিৎ ধর বলেন, “ভাঙনের খবর পাওয়ার পর আমাদের একটি টিম ওখানে গিয়েছে। তাঁরা সবটা দেখছেন। আমরা ওই এলাকায় স্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধের জন্য সার্ভে করাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারব।”

অন্য বিষয়গুলি:

Erosion Bhagirathi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy