Advertisement
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
100 Days Work

একশো দিনে দুর্নীতিতে কি বড় মাথাও!

বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মী ও আধিকারিকদের চুরির পিছনে তৃণমূলের বড় বড় মাথা রয়েছে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৮
Share: Save:

একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ আজকের নয়। বহু আগে থেকে এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা। শুধু বিরোধীরা নয়, ২০১৯ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিওর অভিযোগে বহরমপুরে জেলা আদালত ও কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও চলছে। আর এ সবের মাঝে ওই মামলার অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারীক রথীন্দ্রনাথ দে-র বাড়ি এবং একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জেলা আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের বাড়িতে ইডি তল্লাশি শুরু করতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে— নয়ছয়ের পিছনে কি শুধু কর্মী আধিকারিকেরা যুক্ত রয়েছে? না শাসকদলের নেতা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জড়িত আছেন? বিরোধীদের দাবি, এসবের পিছনে বড় মাথা রয়েছে। কর্মী আধিকারিকেরাই বলুন এর পিছনে কোন মাথা যুক্ত রয়েছে। বিজেপি এক ধাপ এগিয়ে বলেছে, সবে শুরু হয়েছে। এর পরে তৃণমূলের জেলার নেতারাও ডাক পাবেন।

বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মী ও আধিকারিকদের চুরির পিছনে তৃণমূলের বড় বড় মাথা রয়েছে। এ বারে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় তৃণমূলের জেলার নেতারাও ডাক পাবেন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের পরে জমি কেলেঙ্কারিতেও তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাক পাবেন। অপেক্ষা করুন, সবে তো শুরু হয়েছে। সব কিছু দেখতে পাবেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘নেতারা তো নথিপত্র তৈরি করেন না। কার নির্দেশ এসব দুর্নীতি হয়েছে তা আধিকারিকেরা বলুন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৃণমূল বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে।’’

তবে তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা চুরি হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এসব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নেয় না। কিন্তু বাংলায় ভোট না পেয়ে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে হেনস্থা করছে। অভিযোগ থাকলে মামলা করে তদন্ত করবে। তদন্ত করে কিছু পেলে ব্যবস্থা নেবে।’’

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বেলডাঙা থানায় সুজাপুর কুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেন। ১৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪৫০ টাকার দুর্নীতির করা হয়েছে বলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ দে, তাঁর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়, ভিএলই ওয়াশিকুর রহমান এবং একজন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই চার্জশিটও দেয়। ইতি চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত না করে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অভিযুক্ত না করায় হাইকোর্ট ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy