বেলডাঙার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সব পুকুরে ভাসান দেওয়ার চল ছিল, তার অধিকাংশের উপরেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
পুজো শেষ। বিসর্জনের বিরাম নেই। তবে, বেলডাঙা শহরে প্রতিমা ভাসানের বিড়ম্বনা এ বারও কাটল না। শহর থেকে গঙ্গা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। আশপাশের নালা-জলায় ভাসান দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জল নেই। বেলডাঙার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সব পুকুরে ভাসান দেওয়ার চল ছিল, তার অধিকাংশের উপরেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
শহরের বড় পুজোয়র প্রতিমা তাই হোস পাইপ থেকে জলের ছিটে দিয়ে গলিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় কী! বড়ুয়া কলোনির প্রতিমা তাই পাম্পের জল ফোয়ারার মতো ছিটিয়েই বিসর্জন দিলেন পুজো-কর্তারা। যা দেখে চোখে জল স্থানীয় বাসিন্দাদারে।
বেলডাঙা শহরের মাঝ বরাবর রেলপথ। পাঁচরাহা রেলগেট শহরকে আড়াআড়ি দু’ভাগ করেছে। এক দিকে বড়ুয়া কলোনি। সেখানেই পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ সঙ্ঘের মাঠে বড়ুয়া কলোনির পুজো। কিন্তু ওই এলাকায় কোনও পুকুর নেই। ফলে যে কোনও উৎসবেই প্রতিমা বিসর্জন সমস্যার। ছোট প্রতিমা দূরের পুকুরে নিয়ে গিয়ে ভাসান দেওয়া যায়, কার্তিক লড়াইয়ের সময় প্রতিমা কাঁধে নিয়ে লাইন পার করে বিসর্জন দেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু বড়ুয়া কলোনির বড় বাজেটের পুজোয় দূর্গা ভাসান হবে কি করে!
রেল গেট সংকীর্ণ, এত বড় প্রতিমা সেই গেট পার করে বয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই জানাচ্ছেন পুজো কর্তারা। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মণ্ডপের মধ্যে প্রতিমা গলিয়ে দেওয়া হল জল ঢেলে। সব ক’টি মূর্তি পাইপের জল দিয়ে গলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিমার পাশে পাম্প বসানো হয়। বড়ুয়া কলোনি দুর্গা পুজো কমিটির সম্পাদক প্রকাশ চন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় পুকুর নেই। বড় প্রতিমা অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আমরা গত দু’বছর আগেও বিডিও অফিসের পুকুরে প্রতিমা ভাসান দিয়েছি। এখন সেখানে পর্যাপ্ত জল নেই। ফলে জল ঢেলেই মাটি গলিয়ে দিয়েছি, খারাপ লাগলেও উপায় কি!’’ বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বলেন, ‘‘আগামী বছর পুকুরে যাতে জল থাকে সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy