ডোমকল মহকুমা আদালত পরিদর্শন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
পরিকাঠামো তৈরি। এক বছর আগে ভবনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও চালু হয়নি ডোমকল মহকুমা আদালত। পাশের জেলা তেহট্ট মহকুমা আদালত চালু হয়ে গিয়েছে অনেক আগে। এর ফলে ডোমকলের বাসিন্দাদের আইনি পরিষেবা পেতে ছুটতে হচ্ছে ৫০-৬০ কিমি দূরে বহরমপুর অথবা লালবাগের মহকুমা আদালতে। শনিবার ডোমকল মহকুমা আদালতের ভবন পরিদর্শন করতে এসে এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (জুডিসিয়াল) সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল। আদালত ভবন দেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এত সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি হয়েছে। যাবতীয় পরিকাঠামো প্রায় তৈরি। দ্রুত আদালত চালু না করা গেলে পরিকাঠামোর ক্ষতি হবে।’’ আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্চের মধ্যে আদালতের একটি বিভাগও চালু করব।’’ ডোমকলে যাওয়ার আগে এ দিন বহরমপুরে বার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা আলোচনা সভায় যোগ দেন সিদ্ধার্থ। কেন্দ্রের নতুন আইন নিয়ে সেখানে আলোচনা হয় বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সভাপতি পীযূষ ঘোষ।
আইনি সমস্যা ডোমকল মহকুমায় কম হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে আদালত তৈরির দাবি রয়েছে। পরে আদালতের ভবন তৈরি হলেও বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে সেই বাড়ি পড়ে আছে। বাড়ির দখল নিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার পায়রা। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, এ ভাবে ফেলে রাখলে নষ্ট হতে বসবে ভবনটি। পরিদর্শন দলে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরাও ছিলেন। তাঁরাও এ নিয়ে সতর্কবাণী শোনান।ডোমকল বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রবিউল আলম বলছেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে বার বার আবেদন করেছি। কিন্তু কেন আদালত চালু হচ্ছে না, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এ দিন আদালত চত্বর ঘুরে দেখে বলেন, ‘‘রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক আদালতের পরিকাঠামো এখানে তৈরি হয়ে আছে। আরও দেরি করলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের আইনমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই চাইছেন ডোমকল মহাকুমা আদালত দ্রুত চালু হোক। আমরা চেষ্টা করব, অন্তত একটা বিভাগ মার্চ মাসের মধ্যে চালু করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy