আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে বহরমপুরে কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবারও সেই কর্মবিরতি চলছে। যার জেরে শনিবার থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীরা।
শুধু জরুরি বিভাগে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। রবিবার ছুটির কারণে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে বন্ধ ছিল। তবে আজ, সোমবার বহির্বিভাগ খোলা থাকলেও সেখানেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করবেন না বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সিনিয়র ডাক্তারেরা যাতে ছুটি না নেন সে বিষয়ে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তারেরা যাতে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কর্মবিরতি নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোটেশনে সব সময়ের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা থাকেন। কখনও সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে থেকে, কখনও সিনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেন। ফলে তাঁরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। নার্সিংস্টাফদের তত্ত্বাবধানে থাকছেন। দু’বেলা সিনিয়র চিকিৎসকেরা এসে দেখে যাচ্ছেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে এবং ডাক্তারদের নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি করছেন। আমরাও অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এমন নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে আমরা জোর করে সেই আন্দোলন তুলতে বলতে পারি না। তবে সিনিয়র ডাক্তারেরা যাতে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন, তার চেষ্টা করছি।’’
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের পক্ষে ঋত্বিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘আরজি করে এক দিদিকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পরিষেবা চালু রেখে আন্দোলন করছি। এক জন গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত থাকলে তাদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ রোগী ভর্তি থাকেন। এ ছাড়া, রবিবার বাদে প্রতিদিন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৪০০০-৫০০০ রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। সেখানে প্রায় ১০০ জন জুনিয়র ডাক্তার রোটেশনে বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে পরিষেবা দেন। এ ছাড়া প্রায় ৮০ জন সিনিয়র চিকিৎসক আছেন। শনিবার বিকেল থেকে ওই ১০০ জন জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শনিবার বিকেল থেকে রাতভর তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন। ফের রবিবার বিকেল থেকে তাঁরা অবস্থান করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy