প্রতীকী ছবি।
স্বাভাবিক প্রসবের পর ‘ভুলবশত’ সেলাই করে দেওয়া হল প্রসূতির মলদ্বার। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর ওই প্রসূতির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
বুধবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নদিয়ার ভীমপুরের শিমুলিয়ার এক তরুণী। ওই দিনই স্বাভাবিক ভাবে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত ডাক্তার ওই প্রসূতির মলদ্বার পর্যন্ত সেলাই করে দিয়েছেন। তার জেরেই ভোগান্তি। তাঁকে ওই অবস্থা থেকে রেহাই দিতে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। অবশেষে ওই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পান তিনি।
এস গুপ্ত নামে এক চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি ছিলেন ওই তরুণী। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিএসি বৈঠকে নেই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা, মমতাকে নিশানা অধীরের
আরও পড়ুন: বালুরঘাট-কোচবিহারে পৌঁছল টিকা, পর্যাপ্ত ডোজ না পাওয়ার অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের
ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল চত্বরে দেখা মিলছে না অভিযুক্ত চিকিৎসকের। তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোন করা হয়। ফোন ধরে অপর প্রান্ত থেকে পাল্টা বলা হয়— ‘‘আমি ব্যাপারটা জানি না। আপনি ঠিক জায়গায় ফোন করেছেন তো?’’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি এস গুপ্ত বলছেন তো? এর পর ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজের নাম বলতে অস্বীকার করেন। কিছু ক্ষণ থমকে বলেন, ‘‘আমরা সেলাই করি না। এ সব ব্যাপার সিস্টার বা নার্সরাই দেখেন। যেহেতু উনি আমাদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন সেহেতু হয়তো উনি আমাদের নাম বলেছেন। আমি পুরো ব্যাপারটা জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy