Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
District Health Department

সেফ হোমে অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার

নদিয়ায় এখন ৬টি সেফ হোম চালু আছে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই কর্তারা প্রতিটা ব্লকে একটি করে সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৫:৪৩
Share: Save:

সেফ হোমগুলিতে কোনও কারণে আগুন লেগে গেলে যাতে সঙ্গে-সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য সেখানে একাধিক অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সিলিন্ডারগুলি ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে সেফ হোমের নার্স ও এএনএমদের। প্রশিক্ষণ পাবেন এলাকার আশাকর্মীরাও।

নদিয়ায় এখন ৬টি সেফ হোম চালু আছে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই কর্তারা প্রতিটা ব্লকে একটি করে সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কোনও-কোনওটিতে ৫০ জনের বেশি রোগী থাকার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তাদেরই একটা অংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, সিলিন্ডার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও দরকারের সময় তা ব্যবহারের লোক মিলবে তো? জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “এক জনকে দিয়ে আর কত ধরণের ডিউটি কত ক্ষণ করানো যায় বলতে পারেন? দিনের পর দিন এটা করতে-করতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।” প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্যভবন থেকে ১০ জনের মতো চিকিৎসককে অস্থায়ী ভাবে সেফ হোমের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দিয়েই কোনও ভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ দিকে পরপর পাঁচ দিন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য থাকার পর তেহট্ট ১ ব্লকে ফের ২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এঁরা হলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও তাঁর স্ত্রী। এই নিয়ে ওই ব্লকের আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩২। আক্রান্তদের বাড়ি বেতাই দক্ষিণ জিৎপুর এলাকায়। ওই এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকার ৯৫ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এত জনকে চিহ্নিত করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আক্রান্ত ব্যক্তি কোভিড হাসপাতালে আছেন। তাঁর স্ত্রী রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।

শান্তিপুর শহরের এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। গোভাগাড় মোড় এলাকায় তাঁর মনোহারি সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সম্প্রতি করোনা জয় করে তিনি ফিরেছেন। তাঁকে সংবর্ধ্বনা দিল স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন। প্রায় এক মাস পরে সোমবার থেকে তিনি দোকান খোলেন। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, “করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকা উচিত। সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।”

অন্য বিষয়গুলি:

District Health Department Safe Home Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy