Advertisement
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Diarrhea

গরমে শিশুদের ডায়রিয়া বাড়ছে

এই ‘ভাইরাল ডায়রিয়া’ হলে শিশুদের পেটের সমস্যা, বমি, হালকা জ্বর হচ্ছে। শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যাওয়ায় শিশুদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে জলের পরিমাণ একদম কমে যায়।

Diarrhea.

কল্যাণী জেএনএমে শিশু বিভাগের প্রতি দিন গড়ে প্রায় ১০টি শিশু ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৩
Share: Save:

তাপমাত্রার বাড়তেই শিশুদের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নবজাতক থেকে একটু বড় শিশুরাও জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সঙ্গে ডায়রিয়ায় ভুগছে। এই গরমে শিশুদের ডায়রিয়াই এখন চিকিৎসকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কল্যাণী জেএনএমে শিশু বিভাগের প্রতি দিন গড়ে প্রায় ১০টি শিশু ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। মঙ্গলবার শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে মোট ৮৫টি শিশু। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫টি শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

কিছু দিন আগে থেকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য বিভিন্ন বয়সের শিশু জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে জেএনএমে ভর্তি হচ্ছিল। সেই সময়ে শিশু বিভাগের ৬৭টি শয্যায় কখনও কখনও ১২০ জনও ভর্তি ছিল। একাধিক শয্যায় দু’টি করে শিশুও রাখতে হয়েছে। শ্বাসকষ্টে পর পর কয়েকটি শিশুর মৃত্যুও ঘটে। গত এক সপ্তাহ ধরে আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য শিশু বিভাগে চাপ বেড়েছে। প্রতি দিন গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মঞ্জরী বসু বলেন, “এই গরমে শিশুদের বাইরে না নিয়ে যাওয়া ভাল। বেরোলে সঙ্গে ওআরএস রাখতে হবে।”

চিকিৎসকরা বলছেন, এক মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সে ভাবে তৈরি হয় না। এই গরমে তাদের অনেকেরই জ্বর এসে যাচ্ছে। যেটাকে বলা হয় ‘ডি-হাইড্রেশন ফিভার’। এ ক্ষেত্রে মায়ের বেশি করে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি হালকা উষ্ণ গরম জলে স্নান করাতে হবে। দু’বছরের বেশি বয়সের বাচ্চারা বাইরে বেরোচ্ছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। বাইরের বিভিন্ন খাবার খাচ্ছে। যেমন বিভিন্ন ফলের রস, আখের রস বা অন্যান্য পানীয়। তাদের ক্ষেত্রে ‘ভাইরাল ডায়রিয়া’ দেখা যাচ্ছে।

এই ‘ভাইরাল ডায়রিয়া’ হলে শিশুদের পেটের সমস্যা, বমি, হালকা জ্বর হচ্ছে। শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যাওয়ায় শিশুদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে জলের পরিমাণ একদম কমে যায়। ফলে ডি-হাইড্রেশন আরও বেড়ে যায়। সেই সময় ওআরএস খাওয়াতে হবে। যদি কেউ এই সময় ওআরএস খেতে না পারে, চোখ বসে যায় বা প্রস্রাব কমে যায়, তাকে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অনেক শিশুর অ্যালার্জি, র‍্যাশও দেখা যাচ্ছে। ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অরিজিৎ দাস বলেন, “এই সময় শিশুদের বাইরের খাবার না খাওয়াই ভাল। আর বাইরে বেরোলে সে ক্ষেত্রে দুপুরের সময়টা এড়িয়ে চলাই ভাল।”

অন্য বিষয়গুলি:

Diarrhea Children
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy