আজিমগঞ্জে রানি ভবানীর তৈরি টোরাকোটার শিব মন্দির। নিজস্ব চিত্র।
জিয়াগঞ্জে ঢুকেই রয়েছে একাধিক প্রাচীন জৈন মন্দির, গাম্ভীলা শ্রীপাট, বুধুরীপাট, দুধঘাট, সাধকবাগ আখড়া, রয়েছে গুরুদ্বার, প্রাচীন রায়বাহাদুর সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহের বাড়ি। সেখানে পর্যটকের দেখাই মেলে না কেন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজল আনন্দবাজার।
সপ্তাহের শেষে পর্যটকদের ভিড় ভাঙছে লালবাগ শহরে। কিন্তু একেবারেই উল্টো চিত্র লালবাগের পাশের শহর জিয়াগঞ্জে। একেবারেই অন্ধকারে থাকে জিয়াগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অথচ জিয়াগঞ্জে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।
প্রতিবছর কাঠগোলা হয়ে পর্যটক ঘুরে গেলেও মাত্র কিছুটা দুরে অবস্থিত জিয়াগঞ্জে পা পড়ে না পর্যটকদের। স্থানীয় বাসিন্দা সহ সকলেরই দাবি, জিয়াগঞ্জে ঢুকেই রয়েছে একাধিক প্রাচীন জৈন মন্দির, গাম্ভীলা শ্রীপাট, বুধুরীপাট, দুধঘাট, সাধকবাগ আখড়া, রয়েছে গুরুদ্বার, প্রাচীন রায়বাহাদুর সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহের বাড়ি, সব থেকে বড় ব্যাপার হল জিয়াগঞ্জে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালা সেখানে একাধিক সংগ্রাহের ভাণ্ডার রয়েছে। জিয়াগঞ্জে গঙ্গাপাড় করেই রয়েছে একাধিক প্রাচীন জৈন মন্দির, বড়কুঠি, বড়নগরে টেরাকোটার একাধিক মন্দির রয়েছে। রয়েছে ডাহাপাড়া জগদ্বন্ধু ধামও। বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে ভাল সড়ক ব্যবস্থা, যানবাহনও রয়েছে যথেষ্ট পরিমানেই এমনকি পর্যটকদের জন্য থাকা খাওয়ার জন্য পুরসভার অতিথি নিবাস থেকে শুরু করে শহরজুড়ে একাধিক ভাল হোটেলও রয়েছে। এত কিছুর ব্যাবস্থা থাকার পরও জিয়াগঞ্জে পর্যটকদের পা পড়ে না কেন, স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জিয়াগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্রগুলো নিয়ে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে সরকারি তরফে।
এ ছাড়াও লালবাগে যে সমস্ত পর্যটকরা আসেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ পর্যটকই জানেনা জিয়াগঞ্জে ঘোরার মত একাধিক জায়গা রয়েছে। লালবাগে যারা টাঙ্গা চালক বা টোটো চালক রয়েছে তারাও জিয়াগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্রগুলো নিয়ে পর্যটকদের কিছু জানান না। অথচ পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে এক দিন মাত্র সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy