কাবিলপুরে এক মৃত শ্রমিকের শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে গত তিন দিনে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হল। তাঁদের তিন জনের বাড়ি সাগরদিঘির গ্রামে। অন্য জন সুতির গাজিপুরের বাসিন্দা। এদের এক জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, বয়স ১৫ বছর।
শুক্রবার সকালেই সুতির গাজিপুরে খবর আসে আবু বাক্কার শেখ (৪০) নামে এক পরিযায়ী শ্রমিককে মুম্বই যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার নিমতিতা থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে জনা পাঁচেক স্থানীয় শ্রমিকের সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকে মুম্বাইগামী ট্রেনে চাপেন দুপুর সওয়া দুটো নাগাদ। খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোরে চা খাওয়ার জন্য তাঁকে ডাকতে গিয়ে অন্য শ্রমিকেরা দেখেন তিনি মারা গেছেন। নাগপুরে ট্রেন থেকে নামানো হয় তার দেহ ময়না তদন্তের জন্য।
অন্য এক শ্রমিক হায়েক শেখ(৫০)। কাবিলপুর থেকে কাজে গিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের পল্লীবেকম থানার কাঞ্চিবাড়াম গ্রামে প্রায় দু’মাস আগে।
বৃহস্পতিবার দিনভর কাজ সেরে নিজের আস্তানায় ফিরে স্নান করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সঙ্গী পরিযায়ী শ্রমিকেরা তাঁকে সেখানকার আর কেপি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁর মৃত্যু সংবাদ কাবিলপুরের বাড়িতে এলে পরিবারের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হায়েকের স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে।
ওই গ্রামের আর এক শ্রমিক সইবুর রহমান (৪০) কাজে যান মাস আড়াই আগে। বুধবার চেন্নাইতে কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির ইসলামপুরের বাসিন্দা স্কুল ছাত্র ইউসুফ শেখের (১৫)। গ্রামের বহু ছেলে যাচ্ছে বলে স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে চেন্নাইয়ের আউড়িতে কাজে যায় ইউসুফ দেড় মাস আগে। বাবা প্রথমে নিষেধ করলেও দুটো পয়সা আসবে লকডাউনের সময়, এই ভেবে আর কিছু বলেননি। বুধবার দুপুরে কাজের জায়গা থেকে ইউসুফ নিজেদের বাসায় ফেরে।
সেখানেই ঘরের মধ্যে বিদ্যুতের তার লাগাচ্ছিল সুইচ বোর্ডে। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে।
ঘরে তখন কেউ ছিল না। বেশ কিছু ক্ষণ পর তার সঙ্গীরা বাড়ি ফিরে তাকে উদ্ধার করলেও তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy