শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র
এক বছরের কন্যা সন্তানকে আছড়ে মারার পর, স্ত্রীকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। হরিহরপাড়ার ছাতিমতলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পিঙ্কি বিবি (২৬) ও শিশু কন্যার নাম রানি খাতুন (১)। জানা গিয়েছে প্রায় বারো বছর আগে ছাতিমতলার বাসিন্দা মিলন সেখের সাথে বিয়ে হয় চোঁয়া পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কির। তাঁদের দশ বছরের আরও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত মিলন শেখ পেশায় দিনমজুর।
মৃতার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ প্রায় বছর খানেক ধরে মিলন অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। প্রায় তিন মাস আগে পিঙ্কিকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে
মিলনের বিরুদ্ধে।
বুধবার গভীর রাতে মিলন পিঙ্কিকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। শিশুকন্যাকে চৌকির উপর আছড়ে মারারও অভিযোগও উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাঁধে। পিঙ্কিকে তখন বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, নিজের দোষ ঢাকতে মৃতার বাবার বাড়িতে ফোন করে অভিযুক্ত জানান, তাঁদের মেয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। দাবি, নিজের দোষ ঢাকতে বিদ্যুতের কিছু তার এলোমেলো করেও রাখে মিলন। পরিবারের লোকজন এসে দেখতে পান ঘরের মধ্যে চৌকিতে পড়ে রয়েছে মা-মেয়ের নিথর মরদেহ। মৃতার দেহে আঘাতের চিহ্ন, কান দিয়েও রক্ত বেরোচ্ছে। ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে পরিবারের সকলেই।
মৃতার মা ভাসিনা বিবির অভিযোগ, ‘‘অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জামাইয়ের। তার প্রতিবাদ করাতেই মেয়ের উপর অত্যাচার করত। শেষ পর্যন্ত ও মা-মেয়েকে মেরেই ফেলল!’’ বাড়তি পণের দাবিতে মিলন ও তার পরিবারের অন্যরা পিঙ্কির উপরে মাঝেমধ্যেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত বলেও অভিযোগ মৃতার পরিবারের লোকেদের। ঘটনাক্রমে তাদের দশ বছর বয়সী ছেলে রাজ শেখ সেদিন মামার বাড়িতে ছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের বাবা ইন্তাজুল শেখকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রাও। মৃতার বাবা মোজাম্মেল খাঁন বলেন, ‘‘নিজের স্ত্রী, মেয়েকে মারতেও যার হাত কাঁপল না, তার কঠিন শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy