Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

রিপোর্টে দেরি, বাড়ছে ক্ষোভ

করোনার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়া নিয়ে একেবারে প্রথম থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২০ ০৪:৪১
Share: Save:

তিন দিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চাপড়ার গাঁটরা গ্রামে করোনা-আক্রান্তের ১৫ জন আত্মীয় ও প্রতিবেশীর করোনাপরীক্ষার রিপোর্ট এখনও জেলায় আসেনি। আর আসেনি বলেই ওই এলাকার গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্যকর্তা নিশ্চিত হতে পারছেন না বা সেইমতো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। আপাতত ওই ১৫ জন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন।

করোনার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়া নিয়ে একেবারে প্রথম থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, যদি সত্যিই রোগ হয়ে থাকে তা হলে রিপোর্টে দেরি হওয়া মানে, চিকিৎসা শুরুতে দেরি হওয়া। তাতে রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তা ছাড়া, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে অনেকেই জেলার এক কর্তার কথায়, “আমরা প্রতিদিন অপেক্ষায় আছি। কেন যে এত দেরি হচ্ছে বুঝতে পারছি নি।” প্রসঙ্গত, গাঁটরার আক্রান্তের কোনও করোনারোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু বাকিদের রিপোর্ট না এলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। এ সবের মধ্যে আবার সোমবার একটি গুজবকে ঘিরে নাজেহাল অবস্থা হয় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের। রটে যায় যে, মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর স্টেশনে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একাধিক ট্রেন থামবে। সেই কারণে প্রশাসন শহরে কার্ফু জারি করেছে! শহরে হইচই শুরু হয়ে যায়। পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাদের কাছে প্রচুর ফোন আসছে থাকে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “আমাকেও কেউ-কেউ ফোন করে জানতে চেয়েছেন। কৃষ্ণনগর স্টেশনে এইরকম ট্রেন ঢোকার কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। বাইরের থেকে কিছু মানুষ আসছেন। সেই ট্রেন আমাদের জেলার বাইরে হাওড়ায় দাঁড়াবে। সেখান থেকে আমরা গাড়িতে করে তাঁদের নিয়ে আসব।”

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus Test Report
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy