প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রতিষেধক এলে সবাইকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, যারা দূর্বল, যারা চিকিৎসা পরিষেবায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের আগে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে লড়াই করা চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের ডেটাবেস তৈরি করছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবারের মধ্যে ডেটাবেস তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ডেটাবেস তৈরি করতে পারেনি। তবে যাতে এদিনই ডেটাবেসের কাজ শেষ হয় তার জন্য কাজ চলছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ধরনের চিকিৎসক, কর্মী, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত কর্মী-চিকিৎসক, ল্যাবের কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, হেলপারদের ডেটাবেস তৈরি করা হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাব টেকনিশিয়ান, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ধরনে স্থায়ী অস্থায়ী, চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মী, এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত কর্মী, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক, আশাকর্মী, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের যেমন ডেটাবেস তৈরি করার কাজ চলছে।
তেমনই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি ল্যাবে কর্মরত কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়ক, সুপারভাইজারদেরও ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেটাবেসে নাম, ঠিকানা, বয়স, পদ, কোথায় কর্মরত, তাঁর আধার কার্ড, ভোটার বা প্যানকার্ডের তথ্য, যোগাযোগের ফোন জন্য নম্বর-সহ নানা তথ্য সম্বলিত ডেটাবেস তৈরি করতে বলা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে এপর্যন্ত মুর্শিদাবাদে ৮হাজারের উপরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৭হাজারের উপরে। করোনা থেকে সুস্থতার প্রায় ৮৭ শতাংশ।
আক্রান্তের তালিকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করোরার বিরুদ্ধে লড়াইতে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক, নার্স, আশাকর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা যেমন রয়েছে, তেমন পুলিশের আধিকারিক থেকে পুলিশকর্মী, সাধারণ প্রশাসনের আধিকারিক কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় এপর্যন্ত ৮১জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতদের তালিকায় নওদার বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র দাস এবং সালারের এক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে ডেটাবেস তৈরির নির্দেশ এসেছে। সেই অনুযায়ী ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনার প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। ভারত-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে। কবে বাজারে করোনার প্রতিষেধক আসবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি দেশের সরকার। তবে প্রতিষেধক এলে যে সকলকেই দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগেই জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy