Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

বাধানিষেধের সৌজন্যে ৫৫০ থেকে শুধু ৫৪

স্বাস্থ্য দফতরের মতে, সংক্রমণ কমে আসায় হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা কমেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ০৫:৪৫
Share: Save:

অবশেষে সুফল মিলছে বাধানিষেধের। জমায়েত ও বাজার হাটে সমাগম পুরোপুরি বন্ধ করা না গেলেও সরকারি বিধিনিষেধের জেরে তা অনেকটাই কমেছে। আর তার ফলেই করোনার সংক্রমণ মুর্শিদাবাদ জেলায় নেমে এসেছে মাত্র ১০ শতাংশে। রাজ্যে বিধিনিষেধ চালুর সময় এ জেলায় করোনার সংক্রমণ ছিল দৈনিক প্রায় সাড়ে ৫শো।এখন তা দুই অঙ্ক ৫৪তে নেমে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।

বিধিনিষেধ দ্বিতীয় দফায় এখনও ১১ দিন চালু থাকবে। স্বভাবতই করোনার সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে এই সঙ্গে টিকাকরণও বাড়াতে হবে এমনটাই পরামর্শ আইএমএ-র।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩২,৫৪৬ জন। ৮৭০ জন এখনও আক্রান্ত অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩১,৩৮৯ জন।

৮০ লক্ষের জেলা মুর্শিদাবাদে শুক্রবার পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৮ লক্ষ ৩০১ জনের। অর্থাৎ ১০ শতাংশের। তাতেও প্রথম ডোজ় দেওয়া গিয়েছে ৫,৯৬,৮৩৭ জনকে। বাকি ২,০৩৪৬৪ জনকে দেওয়া গিয়েছে দ্বিতীয় ডোজ়। এর মধ্যে কোভিশিল্ডের সংখ্যা ৭,০৫৮৮৩। কোভ্যাক্সিন মাত্র ৯৪,৪১৮। জেলায় প্রায় ৪০০রও বেশি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে অনিয়মিত ভাবে। শুক্রবার সে কেন্দ্রের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮১টিতে। এ বারে জেলায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে যুবকদের সংখ্যা। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়েসিদের মধ্যে টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ১.৩৩ লক্ষের, যার মধ্যে সাধারণ মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে শক্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, ১৪,৫১৫।

জেলার আইএমএ’র কর্তা রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, “লকডাউন করে জমায়েত কমিয়ে তো সারা বছর চলবে না। তাই প্রত্যেকের জন্য টিকাকরণের দুটি ডোজ় সুনিশ্চিত করতে অনেকটাই নিরাপদ থাকবেন সকলেই।’’

স্বাস্থ্য দফতরের মতে, সংক্রমণ কমে আসায় হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা কমেছে। সেক্ষেত্রে শয্যা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সঙ্কটের সৃস্টি হয়েছিল তাও এখন নেই বললেই চলে।

রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন শুরু করেছেন কোভিড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রোটোকল মনিটারিং টিম। জেলার আইএমএ প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য রয়েছেন সেই টিমে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে ১০টি আই সি সিইউ শয্যার মধ্যে ৭টি শয্যাতেই কোনও কোভিড রোগী নেই।রোগী নেই সারি ওয়ার্ডেও। অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড শয্যাকে তাই সাধারণ শয্যায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus COVID19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy