ফাইল চিত্র।
জেলা সদর বহরমপুরে করোনার প্রকোপ কমেছে। বহরমপুরে ১৬টি কন্টেনমেন্ট জ়োন ছিল। একধাক্কায় তা থেকে নেমে শূন্য হয়েছে। সে কারণে, করোনা আক্রান্তের নিরিখে জেলার শীর্ষ স্থান থেকে দু’নম্বরে নেমে এসেছে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বহরমপুরে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশাসনের কর্তারা জানান, করোনা সংক্রমণের উপরে কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়। এটা নিয়মিত পরিবর্তন হয়। বহরমপুরে যে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সচেতন থাকতে হবে।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে ৬৫টি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে। তবে সেই তালিকায় নেই বহরমপুর শহর।’’ তাঁর দাবি, ‘‘করোনা আক্রান্তের উপরে কন্টেনমেন্ট জ়োন পরিবর্তন হয়। এখন বহরমপুরে করোনা কিছুটা কমেছে। যার জেরে কন্টেনমেন্ট জ়োন নেই। এই ধারা বজায় রাখার জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’’
এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে মুর্শিদাবাদে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর কলকাতায় করোনা পজ়িটিভ হয়েছিল। তার প্রায় ২০ দিন পরে ১০ মে জেলায় আরও চার জনের করোনা পজ়িটিভ হয়। এর পরে দিন যত গড়িয়েছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এক সময় জেলার শীর্ষে ছিল বহরমপুর। সম্প্রতি আক্রান্তের সংখ্যা বহরমপুরে কমেছে। ফলে বহরমপুরকে টপকে আক্রান্তের নিরিখে প্রথম স্থান দখল করেছে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লক।
বহরমপুর শহরে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমছে ঠিকই। কিন্তু এখনও সামাজিক দূরত্ববিধি ভেঙে আড্ডা মারা, মাস্ক ছাড়া চায়ের দোকানে ভিড় জমানো, বাজারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। বহরমপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে কী কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই এ বিষয়ে বহরমপুরে নজরদারি বেশি রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। মাস্ক পরা বা দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়েও আমরা নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বহরমপুর শহরের আয়তন প্রায় ৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার। জেলার অন্য এলাকার তুলনায় এই শহরের জনঘনত্ব বেশি। সেই সঙ্গে জেলা সদর হওয়ার কারণে জেলার লোকজন বহরমপুরমুখী হোন। এ ছাড়া সুরক্ষা বিধি অনেকেই মানছেন না। যার জেরে সংক্রমণও বেেড় গিয়েছিল।
সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত বহরমপুর শহরে ১৯৭ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। এই মুহূর্তে ৪৫ জন চিকিৎসাধীন। বাকিরা সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ২০ জন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, ২০ জন পুলিশকর্মী, জনা দশেক সরকারি ও জেলা পরিষদের কর্মী, সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্য মিলে ৫ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে শহরের বাসিন্দাদের একটা অংশ সুরক্ষা ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে ভিড় উপচে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এমনকি বিকেলের পরে ব্যারাক স্কোয়ারে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারন মানুষ। তাঁদের অনেকেই দূরত্ববিধি মানছেন না, মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিধি মেনে চলায় বহরমপুরের চিত্রটা উজ্জ্বল হয়েছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy