ফিরে আসা। নিজস্ব চিত্র
সৌদি আরবে ‘ওমরাহ' পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন হরিহরপাড়া থানার ৫৩ জন যাত্রী। ১১ মার্চ তাঁদের ঘরে ফেরার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের জেরে বাতিল হয় উড়ান। রবিবার বিকেলে তাঁরা ঘরে ফেরেন। পরিবারের লোকজন স্বস্তি পেলেও করোনা-আতঙ্ক অস্বস্তি বাড়িয়েছে প্রতিবেশীদের।
হরিহরপাড়া বাজারে বাস থেকে নামার সময় ওমরাহ যাত্রীদের সকলের মুখে ছিল মাস্ক। তবুও করোনা ভাইরাস আতঙ্ক তাড়া করছে তাঁদের পড়শিদের। হজ যাত্রী বা ওমরাহ যাত্রীরা মক্কা থেকে ঘরে ফিরলে তাঁদের নিয়ে আত্মীয় পরিজন থেকে প্রতিবেশী সকলের উন্মাদনা থাকে। বাস থেকে নামার পর হাতে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি বা আলিঙ্গন করে এলাকার মানুষজন। তবে এ বারে সকলের মধ্যে ছিল চাপা আতঙ্ক। গ্রামের মহিলারাও মুখে আঁচল চাপা দিয়ে ফিসফিস করে বলছেন, ‘‘ভাইরাস চলে আসবে না তো গো!’’হরিহরপাড়া, নশিপুর গ্রামের বাসিন্দারাও ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। যদিও রবিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে নামার পর ওমরাহ যাত্রীদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, হরিহরপাড়ার ৫৩ জন ওমরাহ যাত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয় ১১ মার্চ। ফলে বিপাকে পড়েন তাঁরা। অবশেষে দুবাই হয়ে বিশেষ বিমানে তাঁরা রবিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে নেমেছেন। ওমরাহ যাত্রীরা ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে ওমরাহ যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যান হরিহরপাড়ার বিভিন্ন এলাকার ৫৩ জন। গত ১১ মার্চ ভোরে তাঁদের ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে বাতিল হয় উড়ান। ফলে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে একপ্রকার আটকে পড়েন তাঁরা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ওমরাহ যাত্রীদের পরিবারের লোকেরাও। অবশেষে শনিবার রাতে জেড্ডা বিমানবন্দর থেকে দুবাই হয়ে বিশেষ বিমানে চেপে রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নেমেছেন তাঁরা। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরেও তাঁদের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রবিবার বিকেলে তাঁরা গ্রামে ফেরেন। হরিহরপাড়ার নশিপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল খান, তাঁর স্ত্রী পারুলা খানম, রফিকুলের দুই ভাই জাকির হোসেন খান ও আবু সেলিম খান সৌদি আরবের মক্কায় গিয়েছিলেন ওমরাহ পালনের জন্য। হরিহরপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ মণ্ডলও স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওমরাহ পালনের জন্য। রফিকুল ইসলামের ছেলে সন্তু খান বলেন, ‘‘বাড়ির সকলে ওমরাহ করতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। কীভাবে ফিরবেন ভেবে পাচ্ছিলাম না।’’ রবিবার বিকেলে ঘরে ফিরেই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এমন সমস্যায় পড়তে হবে ভাবিনি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছিল। শেষতক গ্রামে ফিরতে পেরে স্বস্তি পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy