Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
corona virus

জেলায় আক্রান্ত আরও ৩

গত সোমবার তাঁরা  মোট আট জন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন। ওই দু’জনের সঙ্গে থাকা আরও  ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে কৃষ্ণনগর সারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০৩:৩৭
Share: Save:

চলতি সপ্তাহে একের পর এক করোনা-আক্রান্তের সন্ধান মিলছে নদিয়ায়।

ন’মাসের এক শিশু এবং এক পুলিশ কর্মীর পর এ বার গাংনাপুরে দু’জনের করোনা ধরা পড়েছে। ৩৫ এবং বছর ২৮ বয়েসের ওই দুই যুবককে কল্যাণী কোবিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক। গত সোমবার রাতে একটি গাড়ি ভাড়া করে মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের বাড়ি গাংনাপুর থানার খাসপুর এলাকায়। গত সোমবার তাঁরা মোট আট জন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন। ওই দু’জনের সঙ্গে থাকা আরও ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে কৃষ্ণনগর সারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রানাঘাটের মহকুমাশাসক হরসিমরন সিংহ বলেন, “ওঁরা ‘সেল্ফ আইসোলেশনে’ ছিলেন। এলাকার কারও সঙ্গে মেলামেশা করেননি। দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সকলকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় এখনই বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি।” প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।

এঁদের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের কোভিড হাসপাতালের এক নার্সও ভাইরাস- আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আদতে কল্যাণী থানা এলাকার গয়েশপুর পুরসভার বালিরমাঠ এলাকার বাসিন্দা। ব্যারাকপুরের ওই হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করার পর থেকেই তিনি সেখানে ডিউটিতে ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যারাকপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ১১ তারিখে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠায়। বুধবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পর থেকেই গয়েশপুরের বালিরমাঠ এলাকার আতঙ্ক ছড়ায়। এ দিন সকালেই পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন সেখানে যান। আক্রান্তের বাবা, মা ও বোনকে জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে।

গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের মরণকুমার দে জানাচ্ছেন, ওই নার্স দিন পনেরো আগে কিছু ক্ষণের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘যতদূর জেনেছি, তিনি বাড়ির লোকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন। তবুও পুরসভা কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই পরিবারের লোককে পরীক্ষা করানো হয়েছে। আপাতত ওই পরিবারের প্রয়োজনীয় সব জিনিস পুরসভা পৌঁছে দেবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

corona virus covid 19 nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy