বহরমপুরে তৃণমূলের দফতর বেলা গড়াতেই শুনশান। নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন। জেলা কংগ্রেস অফিসের নিচের তলায় ছোট টিভির পর্দায় যেমন চোখ ছিল, তেমনই ঘনঘন ফোন যাচ্ছিল সাগরদিঘিতেও। সকাল দশটা নাগাদ দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে দলীয় প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ২ হাজার ৮০ ভোট এগিয়ে যাওয়ার খবর পেতেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। বহরমপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের হিরু হালদারের নেতৃত্বে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস ভবনের সামনে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা। সঙ্গে বাজতে থাকে ঢাক-ঢোল, ফাটানো শুরু হয় পটকা। এমন ‘অকাল হোলি’ খেলা দেখে শহরের পথচলতি মানুষও জেলা কংগ্রেস ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। এ ভাবে চলতে থাকে বাঁধভাঙা আনন্দ উচ্ছ্বাস। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জেলা কংগ্রেস ভবনে চলে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখান থেকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের দিকে নজর রাখছিলেন অধীর। সাগরদিঘির ফল দলের অনুকুলে দেখে বেলা এগারো নাগাদ জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে সাগরদিঘির উদ্দেশে অধীর রওনা দেন। সেখানে গাড়িতে ওঠার আগেই দলীয় কর্মীরা অধীরের কপালে আবিরের জয়টিকা লাগিয়ে দেন।
এদিন বহরমপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা হীরু হালদার বলেন, ‘‘২০১১ সালে যে সাগরদিঘি দিয়ে প্রথম মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ঘাসফুল ফুটেছিল। এবারে সেই সাগরদিঘি থেকে প্রথম তৃণমূলের ঘাস উপড়ে ফেলা শুরু হল। এবারে সারা বাংলায় এভাবে তৃণমূলের জড় উপড়ে যাবে।’’
সূত্রের খবর, এদিন বহরমপুরে কংগ্রেসের তরফে ১০ কেজি ওজনের ১৬০ প্যাকেট (১৬ কুইন্টাল) আবির কেনা হয়েছিল। তার মধ্যে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস অফিসেই ৮ কুইন্টাল খরচ করা হয়েছে।
বাকি আবির শহরের কুঞ্জঘাটা-সহ বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় খরচ করা হয়েছে। এদিন জেলা কংগ্রেস অফিস থেকে কালেক্টরেট মোড় পর্যন্ত সামান্য রাস্তায় বিজয় মিছিলও করেন কংগ্রেস কর্মীরা। লোকজনকে কংগ্রেসের তরফে মিষ্টিমুখও করানো হয়েছে।
সকাল থেকেই শুনশান ছিল বহরমপুরে জেলা তৃণমূল এবং বিজেপি কার্যালয়। আগে দেখা গিয়েছে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ভিড়ে ঠাসা থাকে বহরমপুরের জেলা তৃণমূল কার্যালয়। কিন্তু এদিন সকাল থেকে ফাঁকা ছিল। দুপুর পর্যন্ত কার্যত সেই অফিস ফাঁকা ছিল। বেলা গড়িয়ে বিকেলে হতে দলের জেলা কার্যালয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায়, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান, জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস সহ আরও অনেকে এসেছেন। সাগরদিঘির ফল নিয়ে আবু তাহের বলেন, ‘‘আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যা বলার বলেছেন।’’
বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যালয়ও শুনশান ছিল। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও নেতা কর্মীদের দেখা যায়নি। ভিন রাজ্যে ভাল ফল করলে যে বিজেপির অফিসে ভিড় জমাতে দেখা যায় এবারে সেই ভিড়টাও উধাও হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy