ভাঙন। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ জেলার শমসেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বাসিন্দাদের। সোমবার রাত থেকে ফের ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায় চাচণ্ড পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রামে। ভাঙনে তলিয়ে যায় বেশ কিছু চাষের জমি ও ভিটা। নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বহু পুরনো মাটির বাঁধ। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে কয়েকশো বাড়িঘর। আশঙ্কা রয়েছে বন্যারও।
বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অন্যত্র চলে যাচ্ছেন গঙ্গার ধারের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধ করতে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাঁশের ঝাড় জলে ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে প্রশাসন। বাঁশ দিয়েই ভাঙন রোধের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। আর যা নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভ দেখা গিয়েছে জনমানসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, ‘‘আমরা জল যখন নীচে ছিল তখন পাথর দিয়ে অথবা কংক্রিট দিয়ে ভাঙন রোধ করার কথা বলেছিলাম কিন্তু প্রশাসন আমাদের কথা শুনতে চায়নি। বালির বস্তা যে ভাঙন রোধে কাজ দেয় না তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এ বারে ভাঙন রোধ করতে বাঁশের ঝাড় ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু পাথর ও লোহার জাল ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ সময় লোহার জালে পাথর ভরে জলে ফেলা যদি যেত, তা হলে ভাঙন কিছুটা হলেও রোধ করা যেত।’’
সেচ দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় সিংহ জানান, ‘‘এ সময় গঙ্গায় জল অনেক, গভীরতাও অনেক। এ সময় বাঁশের ঝাড় জলে ফেলে ভাঙন রোধ করা অনেকটা সম্ভব। এ সময় অন্য কিছু দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তাই বাঁশের ঝাড় ব্যবহার করা হয়েছে।’’
শমসেরগঞ্জের বিডিও সুজিত কুমার লধ জানান, ‘‘শমসেরগঞ্জের ভাঙন দুর্গত এলাকা গিয়েছিলাম, ভাঙন দুর্গত মানুষদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভাঙন দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা সক্রিয় ভাবে কাজ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy