স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে গৌতমকুমার ঘোষাল। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন মুর্শিদাবাদের কান্দির এক বাসিন্দা। বেসরকারি হাসপাতালে বলা হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাকি মাত্র ৫০০ টাকা রয়েছে। এতে পরিষেবা দেওয়া যাবে না। নগদ টাকা দিয়েই পরিষেবা নিতে হয় ওই কান্দিবাসীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। যদিও এমন হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন কান্দির পুরপ্রশাসক। অভিযোগ পেলে তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
কান্দি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষাল তাঁর বাবা গৌতমকুমার ঘোষালের চিকিসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নিয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু কার্ড হাতে নিয়ে নাকি ছুঁড়ে ফেলে দেন হাসপাতালের রিসেপসনিস্ট। এমনই অভিযোগ করেছেন প্রীতম। ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে তাঁকে জানানো হয় এই কার্ডে হয়তো ৫০০ টাকা রয়েছে। এতে পরিষেবা মিলবে না।
প্রীতম দাবি করেন, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পান। ২০১৯ সালে বাবার হাত ভাঙে। সেই খরচ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে দিতে যান। কিন্তু সে বারও কার্ড দেখিয়ে কাজ হয়নি। নিজের পকেট থেকেই সেই টাকা দিতে হয়। এবার ২ দিন আগে ফের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গেলে একই অভিজ্ঞতা হয় তাঁদের।
বেসরকারি হাসপাতালের তরফে বলা হয়, এই কার্ড নিয়ে মুর্শিদাবাদ কালেক্টর অফিসে যেতে। প্রীতম বলেন, এখন যদি কার্ড নিয়ে কালেক্টর অফিস ছুটতে হয় তাহলে বাবার চিকিত্সা করাব কী করে? প্রীতমরা এই কার্ড পেয়েছেন কান্দি পুরসভা থেকে। সেখানে যোগাযোগ করা হলে কান্দি পুরসভার প্রশাসক অপূর্ব সরকার দাবি করেন, এমন হওয়ার কথা নয়। তবে বিরোধী দলের কিছু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে ইচ্ছে করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। কার্ডে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ পেলে তাঁরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy