জলের অভাবে পাট জাঁক দিতে পারছেন না চাষিরা। —নিজস্ব চিত্র
তা হলে কি অল্পজলে পাট পচানোর কোনও ব্যবস্থা নেই? কৃষি আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির ঘাটতি হলে অনেক সময় কম জলে পাট পচানোর প্রয়োজন পড়ে। আর সে কথা মাথায় রেখে ‘সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিউট ফর জুট অ্যান্ড অ্যালাইড ফাইবার’ (ক্রাইজাফ) কয়েক বছর আগে পাট পচানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। কী সেই পদ্ধতি?
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটের জমির পাশে ছোট পুকুর কেটে পলিথিনের চাদর বিছিয়ে পাট পচানোর পদ্ধতিতে পাট জাঁক দেওয়া যায়। পাট জমির নিচু অংশে ছোট পুকুর তৈরি করতে হবে। তবে যাঁদের জায়গা কম তাঁদের জমিতে ৬ ইঞ্চি গভীরতার গর্ত তৈরি করতে হবে। সেখান থেকে যে মাটি পাওয়া যাবে, তা দিয়ে সেই গর্তের পাড় বেঁধে দিতে হবে। তাতে গর্তের গভীরতা দু’ফুটের কাছাকাছি হবে। জল সব সময় রাখার জন্য সেই গর্তে পলিথিনের চাদর বিছিয়ে দিতে হবে। এর পরে তাতে জল ঢুকিয়ে পাট জাঁক দিতে হবে। পাট জাঁক দেওয়ার সময় ‘ক্রাইজাফ সোনা পাউডার’ দিতে হবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্রাইজাফ সোনা পাউডার না পাওয়া গেলে ওই গর্তের জলে ঝোলা গুড়, অ্যামোনিয়াম সালফেট কিংবা পাট পচাতে দেওয়া হয়েছে এমন জলাশয়ে কিছুটা কাদা মাটি তুলে এনে দিতে হবে। আর তা থেকে কয়েক দিনে মধ্যে পাট পচানোর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে যাবে। এতে পাট পচাতে দেওয়ার সময় পাটের মধ্যে ধঞ্চে ও শণ দিলে পাটের দ্রুত পচন হয়।
রানিনগর ২ ব্লকের সহকৃষি অধিকর্তা মিঠুন সাহা বলছেন, ‘‘জলের অভাব দেখা দিলে ক্রাইজাফ পদ্ধতিতে পাট পচানো যায়। পাট পচানো শেষে সেই জলকাদা জমিতে ফেললে তা সার হিসেবে কাজ করবে।’’
কৃষি আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, চিরাচারিত পদ্ধতিতে পাট পচাতে যেখানে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে। সেখানে ক্রাইজাফ পদ্ধতিতে পাট পচাতে ১৫-১৬ দিন সময় লাগে। এতে রং ও গুণগত মান ভাল হয়। কিন্তু সে কথা কি চাষি শুনছে? কৃষি আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা প্রতি বছর চাষিদের এ ব্যাপারে সচেতন করেন। কিন্তু বহু চাষি পুরনো পদ্ধতির বাইরে বেরোতে চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy