লিচু পরখ। নিজস্ব চিত্র
‘‘লিচু লিচু লিচু। চল্লিশ পঞ্চাশ ষাট টাকায় লিচু নিয়ে যান।’’
রাস্তার ধারে ফলের দোকানের সারি। অধিকাংশ দোকানের সামনেই ঝুলছে লাল টুকটুকে লিচুর গোছা। কোথাও রিকশ ভ্যানেই চলছে বিকিকিনি। ক্রেতার ভিড় ঠেলে সামনে চলে এলেন মনসুর আলি নামে এক বৃদ্ধ। বিক্রেতার উদ্দেশে তিনি হেসে বললেন, ‘‘দাদা মাছি বসছে। মাছি না বসলে কিন্তু লিচু নেব না। গিন্নির অর্ডার, মাছি ধরা লিচুই নিয়ে আসতে হবে।’’
জেলার অনেক ফলের বাজারেই বিক্রি হচ্ছে কৃক্রিম রঙে চোবানো লিচু। তাতে লিচুর গন্ধ একটুও কমছে না। সেই লিচু দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে গিয়েই ধার পড়ছে জারিজুরি। মুখে দিয়েই মালুম হচ্ছে, লিচুর মিষ্টত্ব উধাও। তাছাড়া, রং দেওয়া লিচু খেয়ে অনেকে পেটের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও খবর মিলছে। অনেকেই ভাল খেতে হবে ভেবে লাল রঙের ওই লিচু বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঠকে গিয়েছেন। দোকানে ঝোলানো লিচু দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেই লিচুতে রঙ দেওয়া রয়েছে। ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
বেলডাঙার ফল ব্যবসায়ী জয়ন্ত সাহা বললেন, ‘‘বাইরে থেকে যে লিচু আসছে তাতে অনেক সময়েই রং দেওয়া থাকছে। বুঝতে না পেরে গোড়ায় অনেক বিক্রেতাই ওই লিচু কিনেছিলেন। কিন্তু এখন আমরা স্থানীয় বাগান থেকে নিজেরা গিয়ে লিচু কিনে এনে বিক্রি করছি। দাম একটু বেশি পড়ছে ঠিকই। কিন্তু লিচু নিয়ে কোনও অভিযোগ শুনতে হচ্ছে না।’’ সাবিনা বানু নামে এক ক্রেতা বললেন, ‘‘রঙে চোবানো লিচু দেখতে দারুণ। কিন্তু তাতে মাছি বসে না। তাই লিচুতে মাছি বসছে কি না, দেখেই লিচু কিনছি।’’
বেলডাঙা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শঙ্কর চৌধুরী বললেন, ‘‘লিচুতে রং দেওয়া হয়েছে কি না তা বোঝার পরিকাঠামো আমাদের নেই।’’ আর বেলডাঙা-১ বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বলেন, ‘‘খাবারে ও ফলে কৃত্রিম রঙ দেওয়া হয় বলে শুনেছি। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy