মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে প্রশাসনিক ব্যস্ততার পাশাপাশি কিঞ্চিৎ শঙ্কাও রয়ে গিয়েছে জেলা কর্তাদের মধ্যে— সভায় যেন জনসমক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বকা না খেতে হয়! জেলা কর্তারা তাই ‘হোমওয়ার্ক’ করছেন। আর বড় কর্তারা সাবধান করছেন— আগ বাড়িয়ে একটি প্রশ্নও নয়! অন্য দিকে, শাসকদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও দিদির কাছে নম্বর বাড়াতে তৎপর। ‘‘ধমক যে আমাদের জন্যও অপেক্ষা করছে না, তাই বা কে বলতে পারে, বলছেন এক জেলা নেতা!
সম্প্রতি বহরমপুরে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের নেতৃত্বে দলের এনআরসি বিরোধী সভা হয়েছে। সেখানে মাঠ ভরানো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছিল আবু তাহেরের কাছে। সেই সভায় ভাল নম্বর নিয়ে ‘পাশ’ করে গিয়েছেন তাহের। এ বারে সাগরদিঘিতে সরকারি সভা হলেও সেখানে মাঠ ভরানোর দায়িত্ব স্থানীয় বিধায়ক সুব্রত সাহার কাছে চ্যালেঞ্জ। সুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘সে দিনের বহরমপুরের সভার থেকে অনেক বেশি লোক হবে সাগরদিঘির সভায়। শুধুমাত্র সাগরদিঘি ব্লক থেকে ৩০ হাজার লোক জমায়েত করার জন্য নিয়মিত বৈঠক করছেন সুব্রতদা।’’
জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা বলছেন, ‘‘দিদির সভায় সাগরদিঘি ১১টি অঞ্চল থেকে ৩০ হাজার লোক জমায়েতের লক্ষ্য নিয়েছি। এ জন্য সভা ঘোষণার পর থেকে অঞ্চল ধরে বৈঠক করছি। দিদিকে দেখতে শুধু সাগরদিঘি ব্লক থেকে ৩০ হাজার লোক জমায়েত করা হবে।’’
যা শুনে জেলার সুব্রত বিরোধী এক তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘দিদির জেলার সব এলাকা থেকে লোক যাবেন। সাগরদিঘিতে সভা বলে স্থানীয় লোক বেশি যাওয়া উচিত। এতে বাহবা নেওয়ার কী আছে!’’
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভায় আসছেন। তার কাছ থেকে কী চাইবেন? জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলেও এখনও অনেক বিভাগ চালু হয়নি। সে সব বিভাগ চালু করার দাবি জানাব। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্প বা কর্মসংস্থানের দাবিও জানাব।’’ জেলা নেতাদের অনেকেই তাই নিজের এলাকা নিয়ে রীতিমতো ‘হোমওর্য়াক’ শুরু করেছেন, যাতে প্রশ্ন করলে উত্তর থাকে তৈরি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy