শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি কর্মী জন্মেজয় সরকার (বাঁ দিকে) ও তৃণমূল কর্মী সন্দীপ সরকার। নিজস্ব চিত্র
চায়ের পয়সা কে মেটাবে, তা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শুরু হয়েছিল তর্কাতর্কি। শেষে তা-ই পৌঁছে গেল তৃণমূল-বিজেপি গন্ডগোলে। মারপিটে আহত হলেন উভয় পক্ষের পাঁচ জন। এর মধ্যে চার জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উভয় পক্ষ হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালির পায়রাডাঙা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায় ও বিজেপি নেতা আদিত্য রায়ের বাড়ি পাশাপাশি। লোকসভা নির্বাচনের পরে এলাকায় রাজনৈতিক সমীকরণের পরিবর্তন হয়েছে। বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্টে গিয়েছে দুই পড়শির সম্পর্কও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন দু’জনে দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। পরে প্রদীপ মজা করে আদিত্যকে চায়ের দাম মিটিয়ে দিতে বলেন। তা নিয়েই কথা গড়ায়। কিন্তু খানিক পরে বিষয়টি আর মজা থাকে না। শুরু হয়ে যায় বচসা, সেখান থেকে হাতাহাতি। খবর পেয়ে জুটে যায় দুই পক্ষই। শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। উভয় পক্ষেরই অভিযোগ, দা আর লোহার রড দিয়ে তাদের উপরে হামলা করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
হাসপাতালে শুয়ে প্রদীপ রায়ের আত্মীয়, তৃণমূল কর্মী সন্দীপ সরকার অভিযোগ করেন, “চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি কাকাকে মারছে বিজেপির লোকজন। ঠেকাতে গেলে আমাকেও লোহার রড দিয়ে মারে।” গন্ডগোলের খবর পেয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির ময়ূরহাট-১ অঞ্চল কমিটির সভাপতি জন্মেজয় সরকারও। তিনিও মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অভিযোগ, “চা খাওয়ার মতো সামান্য একটা বিষয়কে বড় করে তুলে আমাদের লোকদের ওরা মারধর করল। খবর পেয়ে গেলে আমাকেও ছাড়েনি। বিজেপি করি, সেটাই অপরাধ।”
তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি কল্যাণ ঢালি অবশ্য পাল্টা বলেন, “বিজেপি সর্বত্রই পায়ে পা লাগিয়ে গন্ডগোল করছে। এখানেও তাই। সামান্য একটা কারণকে সামনে রেখে ওরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে।” পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy