মন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজন। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে গত কয়েক মাসের কোভিড কাল ফুঁড়ে এরাজ্যে নিরন্তন আসা যাওয়া শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা মন্ত্রীরা। গত কয়েক দিনে সেই আনাগোনার হিড়িক পড়ে গেছে। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পরেই কিছুটা মরিয়া হয়েই একেরপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এ রাজ্যে জেলা 'ভ্রমণে' কখনও চায়েতে চর্চা কখনওবা মঞ্চ বাঁধা জন সমাবেশে হাজির হয়ে যাচ্ছেন। সেই তালিকায় শেষ সংযোজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বলিয়ান। বহরমপুর ঘুরে সদ্য জঙ্গীপুরে এসে বুধবার সকালে নিছক চায়ের দোকানে খান কয়েক অনুগামীর সামনে কখনও আয়ুষ্মান, কখনও কিষান নিধি, কেন্দ্রীয় আবাস প্রকল্প নিয়ে 'চর্চা' শুরু করলেন। বুধবার তিনি উত্তর মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরলেন পায়ে হেঁটেই। দেখা করলেন দলের পুরনো মুখ ও স্থানীয় বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে। নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ এই দুই জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়ে এই প্রথম তাঁর মুর্শিদাবাদে আসা। এদিন বৈঠক সেরে মন্ত্রী ও দলের কয়েকজন নেতা দলের দলিত নেতা বিকাশ হরিজনের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন। তিনি বলেন," আমি উত্তর প্রদেশের মানুষ। ডাল,ভাত, সব্জি আমাদের প্রিয় খাবার। সেটাই খেয়েছি খুব তৃপ্তির সঙ্গে।তবে সঙ্গে বাংলার প্রিয় রসগোল্লা ছাড়তে পারিনি।নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম এলাম।এবার থেকে নির্বাচন পর্যন্ত প্রতি নিয়ত আসব প্রচারে। তৃণমূলের কুশাসন থেকে মানুষকে নিষ্কৃতি দিয়ে বাংলায় সুশাসন ফেরানোই লক্ষ্য আমাদের।"
মঙ্গলবার বহরমপুরে একই কায়দায় প্রচার সারেন তিনি। বুধবার জঙ্গিপুরে প্রচার সেরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন।
চায়ের আড্ডা থেকে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন," মুর্শিদাবাদ দেশের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জেলা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি এ জেলায় চালু হলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলা যথেষ্ট উপকৃত হত। কিন্তু রাজ্য সরকার তা করছেন না। এর ফলে মানুষ চিকিতসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরাও। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতেই রাজ্য সরকারের পরিবর্তন দরকার। "
বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের সভাপতি সুজিত দাস জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন চায়ের আড্ডা ও জনসম্পর্ক কর্মসূচি শেষ করে একঘন্টা বৈঠক করেন শহরের বিশিষ্ট জন ও প্রাক্তন দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy