Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Krishnanagar

আড়াইশো বছরে বুড়িমা-র পুজো

কৃষ্ণনগরে খ্যাতির নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছেন চাষা পাড়ার ‘বুড়িমা’। সাবেক প্রতিমা সোনা ও রুপোর গয়নায় অলঙ্কৃত হন।

কৃষ্ণনাগরিকদের মন জুড়ে কেবল জগদ্ধাত্রী।

কৃষ্ণনাগরিকদের মন জুড়ে কেবল জগদ্ধাত্রী।

সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৩১
Share: Save:

বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো হলেও কৃষ্ণনাগরিকদের মন জুড়ে কেবল জগদ্ধাত্রী। গোটা বাংলা মাতৃ বন্দনায় সামিল হলেও কৃষ্ণনগর অপেক্ষা করে আরও এক মাস। এমন ব্যতিক্রমের কারণে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো খ্যাতিও বাংলা জুড়ে।

কৃষ্ণনগরে খ্যাতির নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছেন চাষা পাড়ার ‘বুড়িমা’। সাবেক প্রতিমা সোনা ও রুপোর গয়নায় অলঙ্কৃত হন। বুড়িমা গয়নার পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। কেউ বলেন ৫০০ ভরি আবার কারও দাবি ৭০০ ভরি। বুড়িমার আপাদমস্তক সোনার গয়নায় সাজানো থাকে। পূর্বে চাষা পাড়ার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ‘চাষা মা’ নামে খ্যাত ছিলেন। সাতের দশকেও চাঁদমালাতে ‘চাষা মা’ লেখা থাকত। এখন তিনি সবার বুড়িমা। তবে ঠিক কী কারণে চাষা মা বুড়িমা হলেন তার কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।

বর্তমান বছরে চাষা পাড়ার জগদ্ধাত্রী পূজার আড়াইশো বছর পূর্ণ হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। এই উপলক্ষে বুড়িমার পূজা মণ্ডপ নতুন করে নির্মিত হয়েছে।

বুড়িমাকে নিয়ে নানা কাহিনি ভক্তমুখে ফেরে। রাজ্য তো বটেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তেরা পূজা ও পূজার সামগ্রী প্রেরণ করেন। চাষা পাড়া বারোয়ারির সম্পাদক শ্রী গৌতম ঘোষ জানান যে, প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার চাঁদার বিল ছাপানো হয়। কারও কাছেই চাঁদা দাবি করা হয় না। তা সত্ত্বেও পূজার দুপুরে সব বিল শেষ হয়ে যায়। সকলে সারিবদ্ধ ভাবে চাঁদা, প্রণামী, ‘মানসিক’-এর গয়না ইত্যাদি দেন। প্রতি বছর প্রায় ৪০ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ চালের ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়। তা ছাড়াও তিন দিন অন্নমহোৎসব করা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnanagar Jagaddhatri Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy