২০টি সোনার বিস্কুট এবং সোনার ইট উদ্ধার করেছে বিএসএফ। —নিজস্ব চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা রুখে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার গেদে-শিয়ালদহ লোকালে বিপুল পরিমাণে সোনা পাচার করা হচ্ছে, গোপন সূত্রে এই খবর পৌঁছয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। এর পর বিএসএফের একটি বিশেষ দল শিয়ালদহগামী গেদে লোকালের তিন সন্দেহভাজন মহিলার উপর নজরদারি চালাতে থাকে। সীমান্তের কাছে ময়ূরহাট স্টেশনে সোনা হাতবদলের সময় সন্দেহভাজন মহিলাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি সোনার বিস্কুট এবং সোনার ইট উদ্ধার করে বিএসএফ। চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। ধৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় পুলিশকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ান শিয়ালদহগামী গেদে লোকালে সোনা পাচারের খবর পায় তারা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওই লোকাল ট্রেনে বিপুল পরিমাণে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিএসএফের একটি দল ওই ট্রেনে থাকা তিন সন্দেহভাজন মহিলাদের লক্ষ্য করে। তিন সন্দেহভাজন মহিলা ময়ূরহাট হল্ট স্টেশনে নেমে এক ব্যক্তিকে ৭ কেজি সোনা হস্তান্তর করতে গেলে তাঁদেরকে হাতেনাতে পাকড়াও করে বিএসএফ। উদ্ধার করা হয় সোনার বিস্কুট ও ইটগুলিকে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মিতালি পাল, অসীমা মুহুরি এবং অন্নপূর্ণা বিশ্বাস। তাঁরা নদিয়ার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। যেই ব্যক্তিকে সোনা পাচার করা হচ্ছিল তাঁকেও গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। ধৃতের নাম সৌমেন বিশ্বাস। তিনি কাদিপুরের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পেরেছে, নির্দিষ্ট জায়গায় সোনা পৌঁছে দেওয়ার বিনিময় তাঁদেরকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হত। ধৃত মিতালির মাধ্যমে সৌমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত বলে জানা গিয়েছে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, “সীমান্ত এলাকার গরিব ও নিরীহ মহিলাদের টাকার টোপ দিয়ে পাচারের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। বিএসএফ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয়। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে পাচারের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনাই বিএসএফের একমাত্র লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy