দেবগ্রামে বিজেপি দফতরের সামনে পড়ে রয়েছে ইট। নিজস্ব চিত্র
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সোমবারও বিক্ষোভ চলে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। মিছিল, রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রামে বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ দিন নাকাশিপাড়ার নাগাদিবাজারের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ করা হয়। জ্বালানো হয় টায়ার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ নাগাদিবাজার এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। রাস্তা জুড়ে টায়ার জ্বালিয়ে আটকানো হয় গাড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ সেখানে গেলেও অবরোধ তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। পরে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলে পুলিশ। ততক্ষণে কেটে গিয়েছে চার ঘণ্টা।
অন্য দিকে, কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রামে নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় মিছিল বার করে তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়ারুল রহমান, দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিরুদ্দিন শেখ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল জাতীয় সড়ক থেকে বেরিয়ে স্টেশন রোডে পৌঁছনোর পর কয়েকশো তৃণমূল কর্মী স্টেশন রোডে বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালান। ইট ছুড়ে ভাঙচুর চালানো হয় ওই কার্যালয়ে। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, ‘‘দেশের আইন অমান্য করে তৃণমূলের সন্ত্রাসবাদীরা পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়েছে। কোনও অশান্তি হয়নি। বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙার যে কথা বলছে, তা ভিত্তিহীন।’’ দেবগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান মহিরুদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিবাদ মিছিল ছিল নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে। যা শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাছাড়া দেবগ্রামে বিজেপি কোথায় যে তাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করতে যাব!’’
বিক্ষোভ চলে চাকদহেও। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ চাকদহ ব্লকের রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুরালি চৌমাথার কাছে নরপতিপাড়া মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। রাস্তায় টায়ার জ্বালানো হয়। ফলে জাতীয় সড়কে সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। অবরোধ চলাকালীন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে কেউ কেউ হামলা চালাতে গেলে তাঁদের বাধা দেন বিক্ষোভকারীরাই। প্রায় দু’ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। নরপতিপাড়া পশ্চিমপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিভাজন সৃষ্টি করছে। আমরা হিন্দু মুসলমানরা এক সঙ্গে বসবাস করে এসেছি। এত দিন কোনও অসুবিধা হয়নি। হঠাৎ নাগরিকত্ব বিল পাশ করার প্রয়োজন কেন পড়ল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy