প্রতীকী ছবি।
আগামী বিধানসভা ভোটে নদিয়া উত্তরের সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত এলাকার আসনগুলিতে জয়ের জন্য নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে তৃণমূল। ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল।
নদিয়া উত্তরের সাতটির মধ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই সংখ্যালঘু ভোটারেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। শেষ লোকসভা ভোটেও সংখ্যালঘু-প্রধান তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে লিড পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পেয়েছিল তৃণমূল। এ বারও যে সংখ্যালঘুরা ফলাফলের ক্ষেত্রে অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠবে সেটা ধরেই নিচ্ছে যুযুধান সব রাজনৈতিক দলই। সেই মতো প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে কৌশল অবলম্বন করছে। বিজেপি নেতারা যেমন এই সব এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটারদের বাড়িতে রাত্রিবাসের কর্মসূচি নিয়েছেন।
পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় তৃণমূলও। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটার প্রায় ৪২ শতাংশ। তার মধ্যে চাপড়ায় মুসলিম ভোটার প্রায় ৭০ শতাংশ, পলাশিপাড়া কেন্দ্রে ৬৪ শতাংশ, নাকাশিপাড়া কেন্দ্রে ৫৬ শতাংশ ও কালীগঞ্জ কেন্দ্রে প্রায় ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই ভোট নিজেদের দিকে ধরে রাখতে পারলে জয় নিশ্চিৎ। কিন্তু যদি সেটা সম্ভব না হয়? যদি কংগ্রেস-সিপিএম জোট বা মিমের মত সংগঠন সেই ভোট বাক্সে ফাটল ধরিয়ে দেয়? সেই কারণে সংখ্যালঘু সেল ব্লকের পাশাপাশি অঞ্চল স্তরেও বৈঠক করতে শুরু করেছে। নদিয়া জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জুলফিকার আলি খান বলছেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি বুথ স্তরে কর্মসূচি নিতে শুরু করব। বিজেপি যে কতটা বিপজ্জনক সেটা তো মানুষকে বোঝাতে হবে। জানাতে হবে।”
সেটা করতে গিয়ে তারা নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টি তুলে আনছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। জুলফিকার আলি খান বলছেন, “উন্নয়নের কথা যেমন বলা হচ্ছে তেমনই এনআরসি চালু হলে সংখ্যালঘু মানুষদের কী কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে সেটাও তুলে ধরা হচ্ছে।” বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন হেনস্থার কথা তৃণমূল ভোটারদের জানাচ্ছে। সংখ্যালঘু ভোটারদের সামনে কৃষি আইন ও কৃষকদের অন্দোলনের বিষয়টিও তুলে আনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy