কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে পদোন্নতি সম্পর্কে তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সেই তথ্য তাঁকে দেয়নি বলে অভিযোগ। গত ১ মার্চ ডাকযোগে তিনি ফের আবেদন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতরে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে অর্থাৎ জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে পদোন্নতির জন্য ২০২১ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি ও পরীক্ষা হয়। প্রথম দফায় কয়েক জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার পর আবেদনকারীদের মধ্যে কয়েক জন হাইকোর্টে মামলা করেন। পরে আরও কয়েক জনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অনেকে সেই পদে যোগ দিয়েছেন। অম্বিকা রায় দাবি করেন, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে পদোন্নতি বিষয়ে তথ্য জানতে তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। সেখানে কত জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, কী ভাবে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের বেতন কোন তহবিল থেকে দেওয়া হবে— ইত্যাদি বিষয়ে তিনি জানতে চান। ওই আবেদনপত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষায় কত জন অস্থায়ী কর্মী, দৈনিক কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী-অফিসার আছেন, সেই সম্পর্কেও বিধায়ক জানতে চেয়েছেন। দু’দিন পর ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান যে, তথ্য সংগ্রহ চলছে। তার পর এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তিনি আর কোনও সাড়াশব্দ পাননি বলে অভিযোগ। বিধায়কের দাবি, “পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্য চেপে যেতে চাইছে। তথ্য না পেলে হাইকোর্টে মামলা করব।” বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অধিকারিকদের একাংশও জানাচ্ছেন, এই পদোন্নতি সরকারি নিয়ম মেনে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক সুজয়কুমার মণ্ডল বলেন, “কেন তথ্য দেওয়া হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।” রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy