—প্রতীকী চিত্র।
সংসদে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। তাতে দমেননি মহুয়া। প্রধানমন্ত্রী ও আদানির বিরুদ্ধে একের পরে এক আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। তাই বিজেপির কাছে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র ‘সম্মানের লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি মহুয়া প্রার্থী হন, তা হলে তাঁকে পরাজিত করা ছাড়া বিজেপির হাতে দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই। দলের অন্দরে কান পাতলে তেমনই খবর শোনা যাচ্ছে।
বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ জানান, তাঁদের দৃঢ় ধারণা, তৃণমূল মহুয়াকে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী করতে পারে। তাই কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। কয়েক দিনের মধ্যে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সভা সেই পরিকল্পনার অংশ বলে মানছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, কিছু দিনের মধ্যে ওই কেন্দ্রে দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দেখা যেতে পারে বলে দাবি তাঁদের।
গত ২৪ নভেম্বর কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে সভা করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সে দিন তাঁর নিশানায় ছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই আজ, শনিবার পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভা হওয়ার কথা। দলের কিসান মোর্চার নবদ্বীপ বিভাগ সভার আয়োজন করেছে। সভায় জেলা সব প্রান্ত থেকে কর্মীদের হাজির করাতে মরিয়া কিসান মোর্চা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, “কৃষ্ণনগরের সাংসদ যে ভাবে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন, তাতে গোটা দেশ লজ্জিত। তাঁর এই কেলেঙ্কারি, দেশের মানুষের কাছে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের ভোটারদের মাথা হেট করে দিয়েছে। আবার যাতে তাঁরা মাথা উঁচু করেতে পারেন, তার জন্য আমাদের দল সব রকম ভাবে চেষ্টা করবে।” বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৈকত সরকার বলেন, “সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। বর্তমান সাংসদ এখানকার মানুষকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে আমরা যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাব। মহুয়া মৈত্রকে হারানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে জয় এলেও হাতছাড়া হয় কৃষ্ণনগর কেন্দ্র। এ বার অর্থের বিনিময়ে সংসদের প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান বিজেপি নেতারা। বিজেপির জেলা স্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘মহুয়াকে যদি তৃণমূল কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে টিকিট দেয়, তা হলে বিজেপি তাঁকে হারাতে সর্বতো ভাবে চেষ্টা করবে। মহুয়াকে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করবে ধরে নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ যা শুনে তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, “এ সব বিজেপির অলীক কল্পনা। গত বারও মোদি, অমিত শাহ ঘুরে গিয়েছিলেন। কিছু করতে পেরেছে কি? আমার মানুষের শক্তিতে চলি। আর তাই কে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়। মানুষই দায়িত্ব নিয়ে বিজেপিকে হারাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy