রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যানার। সোমবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
এ বার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যানার দেখা গেল কৃষ্ণনগর শহরেও। আর সেই সুযোগে তৃণমূলের তিন প্রভাবশালী নেতার নাম জড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
বূহস্পতিবার কৃষ্ণনগর শহরের পোস্ট অফিস মোড় ও জেলা প্রশাসনিক ভবনের কাছে রাজীবের সমর্থনে ব্যানার দেখা যায়। এর আগে একাধিক বার শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনেও ফ্লেক্স দেখা গিয়েছিল এই দু’টি এলাকাতেই। তৃণমূল বরাবরই দাবি করে এসেছে, জেলার নানা জায়গায় এই ধরনের ফ্লেক্স টাঙানোর পিছনে রয়েছে বিজেপি, যারা এ সব তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু এ দিনই কৃষ্ণনগর শহরে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে এসে জয়প্রকাশ দাবি করেন, শুভেন্দু-রাজীবের সমর্থনে ফ্লেক্স টাঙানোয় ইন্ধন রয়েছে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহার। তাঁর দাবি, “এঁরা তো তৃণমূল থেকে বেরনোর দরজায় অপেক্ষা করছেন। এঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শুভেন্দুবাবু, রাজীববাবু আর জিতেন তিওয়ারিদের। তৃণমূলের ভিতরে বিক্ষুব্ধদের যে বিশাল দল তৈরি হয়েছে, তারাই এ সব করছে।”
নদিয়া জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিনের। কিন্তু সম্প্রতি নতুন জেলা ও ব্লক কমিটিতে বর্ষীয়ান নেতাদের অনেকের ডানা ছাঁটা যাওয়ার পর থেকে সেই কোন্দল প্রবল আকার নিতে থাকে। নতুন জেলা সভাপতির সঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তর বিবাদের কথা কার্যত সকলরেই জানা। বর্তমানে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকলেও মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গেও জেলা সভাপতির ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা কারও অবিদিত নয়। আবার প্রথম দিকে নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি অসীম-বিরোধী বলে পরিচিত শিবনাথ চৌধুরী কৃষ্ণনগর শহর কমিটির সভাপতি হওয়ার পর সেই সমীকরণ খানিক পাল্টে গিয়েছে। তাতেই আরও ইন্ধন জুগিয়েছে জয়প্রকাশের এই মন্তব্য।
যে তিন নেতার নামে প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার এ হেন মন্তব্য, তাঁরা সকলেই এই অভিযোগ একবাক্যে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। জয়প্রকাশ ইদানীং গোয়েন্দাগিরি করছেন না কি জ্যোতিষীর কাজ, তা নিয়ে কটাক্ষ করে উল্টে তাঁরই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। আর জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, “গৌরীশঙ্কর দত্ত, উজ্জ্বল বিশ্বাসেরা দলের জন্মলগ্ন থেকে আছেন আর আগামী দিনেও থাকবেন। জয়প্রকাশবাবুরা আগে নিজেদের ঘর সামলান।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy