—প্রতীকী চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছিল। বাধা দিতে যেতেই বিএসএফের এক জওয়ানকে ঘিরে ধরে সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারীরা। ওই জওয়ানের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেই সময় বিএসএফের গুলিতে ছত্রভঙ্গ হয় পাচারকারীরা। মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি চোরাচালানকারীর। বুধবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার রাঙিয়াপোঁতায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিএসএফ এবং পাচারকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে রবিউল হক নামে ৩৬ বছরের এক ব্যক্তির। তিনি বাংলাদেশের চৌরাঙ্গার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই বিজিবির হাতে বাংলাদেশি পাচারকারীর দেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বুধবার মধ্যরাতে একদল বাংলাদেশি পাচারকারী রাঙিয়াপোঁতার সীমান্ত লাগোয়া একটি নালা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিলেন। তখন ওই এলাকায় টহলরত বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের বাধা দেন। কিন্তু এক বিএসএফ জওয়ানকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফ। পরে জওয়ানেরা ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করলে ঝোপের ভিতরে এক পাচারকারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি তল্লাশিতে মেলে প্রচুর কাশির সিরাপ। বিএসএফ সূত্রে খবর, আহত পাচারকারীকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে বিএসএফের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে দেহ বিজিবির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, জ়িরো লাইনস্ থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে পাচারকারীর মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সীমান্ত লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি গ্রামে কাঁটাতার পেরিয়ে পাচারের পরিকল্পনা চালানো হচ্ছিল। বৃহত্তর পরিকল্পনার আগে রেইকি করতে স্বল্প পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। এ নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টইয়ারের বিএসএফের ডিআইজি কে আর্য বলেন, ‘‘বিএসএফের পক্ষ থেকে কর্তব্যরত জাওয়ানেরা বার বার পাচারকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন। পাল্টা আক্রমণ হলেও প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দ্বারা প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমাদের জওয়ানের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ হলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান তিনি। তাতে এক পাচারকারী মারা গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy