Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Krishnanagar

চেকপোস্ট চালু করতে বৈঠকে দু’দেশের

চাপড়ার হৃদয়পুর সীমান্তের উল্টো দিকে মুজিবনগর। মেহেরপুর জেলার এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। আগের নাম ছিল বৈদ্যনাথতলা। এখানেই বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।

জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র photopranab@gmail.com

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ০৮:০২
Share: Save:

হৃদয়পুর-মুজিবনগর চেকপোস্ট দ্রুত চালুর জন্য নদিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সেই সঙ্গে তিনি চাপড়ার হৃদয়পুর সীমান্তে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনও করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্তারাও। এই চেকপোস্টটি দ্রুত চালু করতে কী কী পরিকাঠামো প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

চাপড়ার হৃদয়পুর সীমান্তের উল্টো দিকে মুজিবনগর। মেহেরপুর জেলার এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। আগের নাম ছিল বৈদ্যনাথতলা। এখানেই বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। এখানেই প্রথম অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রী পরিষদ শপথ নেয়। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান আর রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ফলে এটাকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ধরা হয়। এখানে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। এ বার সেই মুজিবনগরে ‘প্রবেশ ও প্রস্থান’ তৈরি হওয়ায় শুধু মাত্র স্থানীয় মানুষই অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন তাই নয়, সেই ঐতিহাসিক স্থানটিকেও সহজে স্পর্শ করার সুযোগ পাবেন ভারতের বাসিন্দারাও। চাপড়া থেকে হৃদয়পুর ও মুজিবনগর হয়ে ঢাকা পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণও করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে দুই দেশের পক্ষ থেকে। নাম হবে ‘স্বাধীনতা সড়ক’।

এই চেকপোস্টটি চালুর জন্য অনেক দিন আগেই উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেই মতো তারা বাংলাদেশের দিকে প্রয়োজনীয় সব পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলছেন বলে দাবি। শুধু ভারতের দিকে জিরো লাইন থেকে হৃদয়পুর পর্যন্ত ছ’শো মিটার রাস্তা তৈরি করতে হবে। সেটা হয়ে গেলে এই চেকপোস্ট চালু করা সম্ভব হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। আর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্নের জন্য এ দিন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের আন্দালিব ইলিয়াসের নেতৃত্ব তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে গেলেন। ভারত সরকারের তরফে রাস্তা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওয়ার্ক ওর্ডারও দেওয়া হয়েছে। এখানে ‘প্রবেশ ও প্রস্থান’ পথ তৈরি হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন ভিসা-ইমিগ্রেশন জায়গা তৈরি হয়ে গেলে দুই দেশের মানুষ অনেক সহজে ঢাকা-কলকাতা যাতায়াত করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলা পরিষদের পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হতে চলেছে। আমরা চেষ্টা করছি রাস্তাটা দ্রুত তৈরি করে ফেলতে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnanagar Indo Bangladesh Border
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy