—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুয়ারে সরকার, ভোটের ডিউটি, জনসংযোগ ও পাড়ায় সমাধান। খেলা, মেলা, পরীক্ষার সেন্টারে ডিউটি থেকে সরকারি বিভিন্ন মিটিং। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগদানের মুখ্য ভূমিকায় থাকতে হয় তাঁদেরই। জানাচ্ছেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। কাজের বহর বাড়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার আশা কর্মী। কেবল আশা কর্মী নয়, তিন লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহকারীরাও আশা করেছিলেন, এ বারের বাজেটে অন্তত তাঁদের জন্য কিছুটা অর্থ বরাদ্দ হবে। কিন্তু বাজেট শেষে দেখা গিয়েছে তাঁদের খাতে কোনও বরাদ্দ নেই। এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে নেত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন কাজের বহর বাড়ছে। সরকারি বিভিন্ন কাজকর্মে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু তাঁদের সাম্মানিক ভাতা নিয়ে কোনও রকমের চিন্তা নেই সরকারের। কর্মীদের আরও দাবি, না কেন্দ্র না রাজ্য কোনও সরকারই তাঁদের কথা ভাবছে না। অথচ সারা দেশের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ভার তাঁদের হাতে।
এই দু’টি সংগঠনের কর্মী থেকে নেত্রীদের অভিযোগ, যা হচ্ছে সবই ভোটের টানে। লক্ষীর ভান্ডারে বরাদ্দ করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। কোনও রকমের কাজ না করেই সমস্ত শ্রেণির মানুষের হাতে সেই টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ করোনার মতো পরিস্থিতিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যারা কাজ করে গেল, তাদের জন্য কেউ ভাবার নেই। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘‘আশা কর্মীদের জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ হল না। এ রাজ্যের গ্রাম শহরের প্রায় ৭০ হাজার আশা কর্মীর প্রত্যাশাকে আঘাত করেছে সরকার। স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অস্বাভাবিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মভারে আশা কর্মীরা দিনরাত খেটে মরছেন। অথচ তাঁদের কথাটা একবারও ভেবে দেখলেন না তিনি (মুখ্যমন্ত্রী)।’’ আর এর ফলে আশা কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ বাড়ছে।
দুটো সংগঠনের নেত্রীদের দাবি, অনেক কর্মী হতাশ হয়ে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন সভায় আশা কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার কথা বলছেন। অথচ এখনও পর্যন্ত কাউকে সেই ফোন দেওয়া হয়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার এন্ড হেলপার ইউনিয়নের সম্পাদিকা মাধবী পন্ডিত বলছেন, "কেন্দ্র এবং রাজ্য কোনও সরকারই আমাদের কথা ভাবেনি। ২০১৯ সালের পরে কোন রকমের অর্থ বরাদ্দ হয়নি আমাদের খাতে। সামান্য সাম্মানিক ভাতাই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।" জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি রাজ্যের, ফলে এ বিষয়ে উত্তর দিতে পারবে তারা। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy