Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

ঝুঁকি নিয়ে সমীক্ষা, তবু বন্ধ বাড়তি ভাতা

রোদৃবৃষ্টি উপেক্ষা করে, করোনা আবহে দুয়ারে ঘুরে বিভিন্ন বিযয়ে সমীক্ষা চালালেও তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। এমনই অভিযোগ আশাকর্মীদের।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
ডোমকল শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতিতে তারাই স্বাস্থ্য দফতরের মুখ, সরকার বার বার বলেছে তারাই করোনা যোদ্ধা। কিন্তু ওইটুকুই, রোদৃবৃষ্টি উপেক্ষা করে, করোনা আবহে দুয়ারে ঘুরে বিভিন্ন বিযয়ে সমীক্ষা চালালেও তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। এমনই অভিযোগ আশাকর্মীদের। করোনা পরিস্থিতিতে তাদের হাজার টাকা বাড়তি যে ভাতা দেওয়া হচ্ছিল, আনলক পর্ব শুরু হতেই তাতেও কাঁচি পড়েছে বলে অভিযোগ।
আশা কর্মীদের আরও দাবি, তাদের নির্দিষ্ট যে কাজের তালিকা রয়েছে, বস্তুত কাজ করানো হচ্ছে তার বাইরেও। কখনও স্বাস্থ্যদফতর কখনও বা ব্লক প্রশাসন একের পর এক কাজ চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের ঘাড়ে। এমনকি বিভিন্ন সমীক্ষার নামে বারবার তাদের পাঠানো হচ্ছে একই পরিবারে। তবে পিপিই দূরস্থান তাদের ন্যুতম সুরক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। সেই তালিকায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা যেমন রয়েছে তেমনই আছে উপসর্গহীন কোভিড রোগীর অন্বেষনের মতো ঝুঁকির কাজও।
রাজ্য আশাকর্মী ইউনিয়নের ডোমকল ব্লকের সম্পাদিকা ফেরদৌসি বেওয়া বলছেন, ‘‘এক দিকে স্বাস্থ্য দফতরের কাজ, অন্য দিকে ব্লক প্রশাসনের দায়, নিস্তার নেই আমাদের। মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা উৎসাহ ভাতা দিয়ে সব কাজই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’’
অভিযোগ যে একেবারে অমূলক নয় মেনে নিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তা। তাঁদের কথায়, অমানবিকভাবে খাটিয়ে নেওয়া হচ্ছে আশা কর্মীদের। ডোমকলের এসসিএমওএইচ মামুন রশিদ বলেছেন, ‘‘আশাকর্মীদের কাজ আমরা খুব কাছ থেকে দেখি, ফলে তাদের সমস্যাটি আমরা বুঝতে পারি। যে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয় তাদের তার তুলনায় কাজ অনেক বেশি। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি।’’
জলঙ্গির আশা কর্মী সংগঠনের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও একই অভিযোগ তুলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। তার কথায়, ‘‘কাজের কোনও অন্ত নেই আমাদের। পাঁচটা সমীক্ষার জন্য একই বাড়িতে আমাদের পাঁচ দিন যেতে হয়। একটু পরিকল্পনা মাফিক কাজ হলে আমাদের কাটনিও কম হয়।’’ করোনা মোকাবিলার জন্য যে বাড়তি ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছিল তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। মে জুন-জুলাই এই তিনমাস ওই বাড়তি ভাতা দেওয়া হয়েছিল। অগস্ট তেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমতআরা খাতুন বলছেন, ‘‘তিন মাস অতিরিক্ত ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার পরে কেন সেটা বন্ধ করে দেওয়া হল আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। স্বাস্থ্য ভবনে আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম আমরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা আশ্বাস ছাড়া কিছুই দেননি।’’ তবে, মুর্শিদাবাদের ডিস্ট্রিক আশা ফ্যাসিলেটর শাশ্বতী চাকি বলছেন, ‘‘অতিরিক্ত টাকা ফের বরাদ্দ হবে বলেই শুনছি। আশা করছি সে টাকা তাঁরা

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus asha worker
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy