অনুপনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র
ন’টি পঞ্চায়েত এবং একটি পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য ভরসা করেন। পাশাপাশি, পড়শি জেলা মালদহের পারলালপুর, দেওনাপুর, শোভাপুর, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের চাচকি, ইলামি, সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাও অসুখ হলে শমসেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে আসেন। সূত্রের খবর, আট জন ডাক্তার, ১৭ জন নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আবহে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছে চলেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে বছর দুয়েক আগে রাজ্যের গ্রামীণ হাসপাতালগুলির মধ্যে সেরা হয়েছিল অনুপনগর। করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে জ্বর কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে আসা রোগীরাও ভি় করছেন। প্রতিদিন কয়েকশো গ্রামবাসী সেখানে আসছেন। ডাক্তার, নার্স ও অন্য কর্মীদের নিয়ে তিনটি দল গড়া হয়েছে। যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছেন নিয়মিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, লকডাউনের মধ্যে হাতের কাছে ডাক্তারবাবুদের পেয়ে তাঁদের বাড়তি সুবিধা হয়েছে। চাঁদপুরের গুড়িয়া বিবি রবিবার সন্ধ্যায় প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার উচ্চ রক্ত চাপ থাকায় অনেকটা ঝুঁকি ছিল। কিন্তু লকডাউন চলায় তাঁরা জঙ্গিপুরের হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অনুপনগরেই তাঁর প্রসব হয়। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ। গুড়িয়ার মা বাবলি বিবি বলেন, ‘‘হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের হাতযশে আমার মেয়ের ভাল ভাবেই প্রসব হয়েছে।’’ ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধান সুবল সাহা বলেন, ‘‘অনুপনগর হাসপাতালের পরিষেবা যথেষ্ট ভাল। ডাক্তারবাবুরা রোগীদের সহজে রেফার করে না। করোনার সময়ে তাঁরা বাড়তি পরিশ্রম করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy