সত্যজিৎ বিশ্বাসকে শেষ শ্রদ্ধা অনুব্রতের। ফাইল চিত্র
কৃষ্ণগঞ্জের নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের মরদেহে মালা দিতে হাঁসখালি গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ কথা জানালেন সত্যজিৎ হত্যা মামলার মূল অভিযোগকারী মিলন সাহা।
বিধাননগর ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। অন্যতম প্রধান সাক্ষী সত্যজিৎ ঘনিষ্ঠ মিলন সাহার কাছে অভিযুক্তের আইনজীবী সুবীর দেবনাথ একটি ছবি দেখিয়ে জানতে চান, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মরদেহ হাসপাতাল থেকে আনার পরে তৎকালীন নদিয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল মাল্যদান করেছিলেন কি না। মিলন বলেন, “হ্যাঁ”। আদালত ছবিটি তথ্যপ্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করেছে।
পরের প্রশ্ন: “সত্যজিৎ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা বা থানায় কোনও এফআইআর হয়েছিল কি না আপনি জানেন?” মিলন বলেন, “দু’একটা এফআইআর হয়েছে।” আইনজীবী জানতে চান, এক গরিব অটোওয়ালা হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন যে সত্যজিৎ ও তাঁর দলবল তাঁকে মেরেধরে, অটো ভাঙচুর করে সারা দিনের রোজগারের টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মদ খাওয়ার জন্য। মিলন বলেন, “আমার জানা নেই।” আইনজীবী এফআইআরের ‘সার্টিফায়েড কপি’ আদালতে পেশ করেন। সেটি তথ্যপ্রমাণ হিসাবে গৃহীত হয়। পরের প্রশ্ন: সত্যজিৎ কি কোনও দিন জেল খেটেছিলেন? মিলন জানান, বগুলা কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর ফেরার সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সত্যজিৎ জেল খাটেন।
আইনজীবী জানান, প্রথম জীবনে সত্যজিৎ মাঠে কাজ করতেন, তাঁর টিনের বাড়ি ছিল। ২০১৭ সালে সত্যজিৎ ও ভাই সুমিত একই দিনে বিয়ে করেন। প্রচুর লোক নিমন্ত্রিত ছিল। সেই বিয়ের আয়োজন হয়েছিল নোটবন্দির কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই। মিলন সম্মতি জানান।
শেষপর্বে অভিযুক্তের আইনজীবী জানতে চান, সত্যজিতের চাকরি এখন তাঁর স্ত্রী রূপালী বিশ্বাস করছেন কিনা। সাক্ষী বলেন— “হ্যাঁ”। আগামী ১৬ অগস্ট ফের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy