—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বহরমপুরের তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুনের ঘটনায় পুলিশ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। বুধবার রাতে বহরমপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সাইফুল মণ্ডল। তার বাড়ি নওদার পাটিকাবাড়িতে।
ধৃতকে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তাকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি সাইফুলকে আদালতে উপস্থিত করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সাইফুলকে নিয়ে এই খুনের মামলায় মোট তিন জন গ্রেফতার হল। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাইফুল সত্যেন চৌধুরী খুনের ঘটনার ষড়যন্ত্র যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। এর আগে সেই ঘটনায় সাইফুল জেলও খেটেছে।
গত ৭ জানুয়ারি বহরমপুরে চালতিয়ায় তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী আততায়ীর গুলিতে খুন হন। ওই ঘটনায় তিন যুবক সরাসরি যুক্ত ছিল। এ ছাড়া তিন খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পড়শি জেলা নদিয়ার তেহট্টের বিনোদনগর থেকে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে গুলি চালিয়ে সরাসরি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নওদার শ্যামনগরের রহিম মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এবারে নওদারই পাটিকাবাড়ির সাইফুল মণ্ডল সত্যেন চৌধুরীকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গ্রেফতার হল।
তবে সত্যেন সরাসরি গুলি চালিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেন চৌধুরীকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। তাঁকে সরাসরি গুলি চালিয়ে তিন জন যেমন খুন করেছে, তেমনই সেই ঘটনার পিছনে আরও একাধিক লোকজন জড়িয়ে রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে এক জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে বহরমপুরের বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল। অথচ কী কারণে এই খুন, খুনি তিন জনের পিছনে কারা তা খুঁজে বের করতে পারল না। তাঁরা চান পুলিশ খুনের কারণ এবং খুনিদের পিছনে যারা রয়েছে তাদের তদন্ত করে বের করুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy