বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর কাণ্ডে ‘সাসপেন্ড’ হওয়া চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আর এক অভিযোগ এ বার প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ, চার বছর আগে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এক ছাত্রকে ডাক্তারিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি দু’দফায় মোট আট লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রকে তিনি ডাক্তারিতে তো সুযোগ করে দিতে পারেনইনি, টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত শনিবার সুর নরম করে সেই টাকার মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন বিরূপাক্ষ।
জলঙ্গির ভাদুরিয়াপাড়ার বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার বাবা দীন মহম্মদ বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে আমার ছেলে ভাল ফল করেছিল। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবে বলে সে প্রস্তুতি নিচ্ছিল দমদমের একটি কোচিং সেন্টারে। সেখান থেকেই ছেলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিরূপাক্ষের প্রভাবের কথা জানতে পারে। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। আসন সংরক্ষণের জন্য বিরূপাক্ষকে তিন লক্ষ টাকা দিই।’’
দীন মহম্মদের দাবি, ‘‘আমি আর্থিক ভাবে সচ্ছল, এ কথা জানতে পেরে ওই চিকিৎসক আরও টাকা দাবি করছিলেন। পরে নগদে ফের পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁকে দিই। কিন্তু তার পরেও তিনি টাকা চাইছিলেন। আর টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি ফোনে হুমকি দেন। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যা পারেন করে নিন।’’ ঘটনাচক্রে, পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত রবিবার বৌবাজার থানায় বিরূপাক্ষ-সহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
দীন মহম্মদ জানান, ২০২১ সালে তিনিও বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে জলঙ্গি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ছ’মাস পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হলে আগাম জামিন নিয়ে নেন বিরূপাক্ষ।
কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ পদক্ষেপ করল না কেন? জলঙ্গি থানার তদানীন্তন ওসি উৎপল দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘এত দিন আগের ঘটনা মনে নেই।’’ বিরূপাক্ষকে এ নিয়ে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy