স্নান। কল্যাণী মাঝেরচরে ভাগীরথী নদীতে। নিজস্ব চিত্র
পাঁচ দিনের বঙ্গ কুম্ভমেলা প্রথম দিনই জমে উঠল। মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিনেই ৫০ হাজারের উপর তীর্থযাত্রী এসেছেন মেলায়। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ১০ হাজার তীর্থযাত্রীকে এক হাতা করে খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। প্রায় আট হাজার তীর্থযাত্রী সেই প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে দেড়শোর বেশি সাধু সন্ন্যাসী এসেছেন মেলায়। সন্ধ্যায় ঘাটে আরতি দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় হয়েছে।
সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সহযোগিতায় কল্যাণীর মাঝেরচর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ঘাটে এই কুম্ভ মেলা নিয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যেই আগ্রহ দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেলার সভাপতি মহন্ত রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজ। এ দিন ভাগীরথীতে কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী স্নান করেছেন। বইয়ের স্টল বসেছে তিন থেকে চারটি। খাবার ও অন্য স্টল ১০০টি। প্রায় ছ’ একর জায়গা জুড়ে মেল বসেছে। সাধুসন্ত, তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু।
সোমবার কল্যাণীর বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা করে শাহিস্নান হবে। আজ শনিবার থেকে তিন দিনের জন্য বিশ্বকল্যাণ যজ্ঞ শুরু হচ্ছে। সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক স্বামী নির্গুণানন্দ বলেন, “আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মাঘী সংক্রান্তি তিথিতে অভিজিৎ মুহূর্তে বেলা ১২টা ৩ মিনিটে সাধু বাবারা স্নানে যাবেন। ওই দিনই সব থেকে বেশি তীর্থযাত্রীদের ভিড় হবে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, আগে মেলার নিরাপত্তার জন্য ১৫০ পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের থাকার কথা থাকলেও সেই সংখ্যা প্রথম দিনই বাড়ানো হয়েছে। ২২০ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক এখন আছেন। পরে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। মেলায় প্রবেশের অনেক আগে ড্রপগেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে দুই রাস্তার মোড়ে। হুগলি থেকে ঢোকার মুখে ইশ্বরগুপ্ত সেতুর কাছে একটি, অন্যটি কল্যাণী ব্লকের মাঝেরচর সত্যপ্রিয় রায় স্মৃতি বিদ্যাপীঠের কাছে রাস্তায়। মেলার প্রথম দিন বাইক, সাইকেল বা অন্য যানবাহন মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকলেও আজ শনিবার থেকে সব যানবাহনের প্রবেশ সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy