চক-দে: খেলা দেখতে ভিড় ঝুলনের পাড়ার ক্লাবে। নিজস্ব চিত্র
চাকদহ এক্সপ্রেস, ঝুলন গোস্বামী ঝড় তুলেছেন লর্ডসে। ঝুলনকে দেখেই ছুটছে তাঁর রাজ্যের মহিলা ক্রিকেটাররা। তাঁদের অনেকেই আবার সরাসরি ঝুলনের পরামর্শ পেয়েছেন। রবিবার সেই পরের ‘এক্সপ্রেস’রাও যেন মনে মনে পৌঁছে গিয়েছিলেন লর্ডসে। তাঁদের মুখে তখন একটাই স্লোগান— ‘ফাইট ঝুলন, ফাইট...।’
নদিয়া জেলা মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য করিমপুরের রিঙ্কু শর্মা এখন কলকাতার একটি ক্লাবে অনুশীলন করছেন। রিঙ্কু জানালেন, রবিবার ক্লাবের সকলেই প্র্যাকটিস বন্ধ রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ফোনে রিঙ্কুর প্রতিক্রিয়া, “ছোট থেকে ঝুলনদিকে দেখেই তো ক্রিকেটটা খেলতে শিখেছি। খেলাটাকে ভালবেসেছি। সেই খেলার একটা মুহূর্তও মিস করতে চাইনি।’’
রিঙ্কুর মা জ্যোৎস্না শর্মা বলেন, ‘‘ভাল খেলে ও জেলার দলের শিবিরে ডাক পায়। ২০১৩ চাকদহ স্টেডিয়ামের সেই শিবিরে প্রথম ঝুলনের নজরে পড়ে রিঙ্কু। তারপর থেকেই ঝুলনের কোচিং ক্যাম্পে অনুশীলনের সুযোগ পায় রিঙ্কু।’’
বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় মেস ভাড়া করে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রিকেট দলের দুই সদস্য সাগরদিঘির রুকসানা খাতুন ও বহরমপুর বাজারপাড়ার অনন্যা হালদার। তাঁরাও রিঙ্কুর মতো কলকাতার একটি ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ দিন দু’জনেই দমদমের মেস থেকে ক্লাবে গিয়ে সকলের সঙ্গে বসে খেলা দেখেছেন।
মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য অলরাউন্ডার রুকসানা বলেন, ‘‘ঝুলনদির জন্য খেলা দেখা সার্থক হয়েছে। এ দিন ঝুলনদির কাছ থেকে যে আগুনে বোলিং আশা করেছিলাম, তাই পেয়েছি।’’ অনন্যা হালদারও বলেন, ‘‘দিদিভাইকে দেখেই তো ক্রিকেটটা খেলছি। ঝুলনদি আমাদের অনুপ্রেরণা। ফাইনালে বল হাতে তাঁকে ও ভাবে ঝলসে উঠতে দেখে একজন বাঙালি হিসেবে গর্ব হচ্ছে।’’
পরের ‘এক্সপ্রেস’রাও ফুঁসছেন। শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy