—প্রতীকী ছবি।
এক মহিলার মুখে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল তাঁর প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম নটবর বিশ্বাস। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জে ঘুঘড়াগাছি গ্রামে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাসিড-আক্রান্ত ওই মহিলার বছর দশেক আগে শ্যামনগরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছরের একটি ছেলে আছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি মাস সাতেক আগে বাড়ি ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। তার পর থেকে ঘুঘড়াগাছিতে বাপের বাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা।
অ্যাসিড-আক্রান্ত মহিলার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মাস তিনেক আগে নটবর বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক যুবক মহিলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তিনি রাজি না হওয়ায় নানা ভাবে ওই হুমকি দিতে থাকে। এমনকি, রাস্তায় দেখা হলে কু-প্রস্তাবও দিতে শুরু করে। কিছু করে উঠতে না পেরে সেই রাগেই শেষ পর্যন্ত মহিলাকে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
অ্যাসিড-আক্রান্তের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা তাঁর মা, ছেলে আর ভাইয়ের সঙ্গে বারান্দায় শুয়েছিলেন। গ্রিলে তালা দেওয়া ছিল। পরিবারের দাবি, নটবার রাত আড়াইটে নাগাদ পিঠনের বাঁশ বাগানের বাঁশ বেয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। তার পরে এই কাণ্ড ঘটায়।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এ দিন ওই মহিলা অভিযোগ, রাত আড়াইটে নাগাদ নটবর ঘটনাটি ঘটায়। মহিলার কথায়, “প্রথমে আমার মুখ চেপে ধরে। আমি চিৎকার করে উঠতেই আমার মুখে অ্যাসিড ঢেলে পালিয়ে যায়।” তাঁর আরও অভিযোগ, “মাস তিনেক ধরে আমায় নানা ভাবে উত্যক্ত করছিল। আমি ওর কোনও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি দিতে শুরু করে। আর সেই রাগ থেকেই আমার সঙ্গে এটা করল!”
এই ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অ্যাসিড-বিক্রিতে প্রশাসনিক নজরদারির ফাঁকফোকর নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে অভিযুক্তের হাতে অ্যাসিড এসে পৌঁছল। কারণ, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশমাফিক খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। তার পরেও বারবার ঘটে চলেছে অ্যাসিড-আক্রমণের ঘটনা।
পুলিশের নজর এড়িয়ে অভিযুক্তের হাতে কী ভাবে অ্যাসিড এল? এই প্রশ্ন শুনেই কোনও উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার জাফর আজমল কিদোয়াই।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy