Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Radikapur Express Derailed

দুরুদুরু বুকে আবার শুরু যাত্রা! আতঙ্ক ভুলতে পারছেন না রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বালি বোঝাই লরি রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল আপ কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস।

লাইনচ্যুত রাধিকাপুর এক্সপ্রেস।

লাইনচ্যুত রাধিকাপুর এক্সপ্রেস।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:১৭
Share: Save:

মধ্যরাতের দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে নতুন ইঞ্জিন নিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দিল দুর্ঘটনাগ্রস্থ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি জঙ্গিপুর স্টেশন ছাড়ে। সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ ইঞ্জিনকে বল্লালপুরে রেখে অন্য একটি ইঞ্জিন এনে কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর স্টেশনে।

দুর্ঘটনার জেরে বদলে যায় যাত্রাপথ। আজিমগঞ্জ হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দেয় দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেন। নিরাপদে আজিমগঞ্জ স্টেশন পৌছলেও দেখা যায় চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ যাত্রীদের। রবিবারের রাতের আতঙ্কের স্মৃতি ভুলতে পারছেন না কেউই। প্রসঙ্গত, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ, ফরাক্কার বল্লালপুর স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপ ১৩১৪৫ কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বালি বোঝাই লরি রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল আপ কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। কিছু বুঝে উঠবার আগেই, একটা বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় রেল যাত্রীদের। রেল লাইনের আশেপাশের লোকজনও আওয়াজ শুনে চমকে ওঠেন। বেড়িয়ে আসেন ঘর ছেড়ে। একদম বল্লালপুর ব্রিজের নীচেই বালি বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। থেমে যায় ট্রেন। প্রবল ঝাঁকুনির পর আচমকা ট্রেন থেমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান যাত্রীরাও। দেখা যায় লাইনচ্যূত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন-সহ দু’টি কামরা। সামনেই দুমড়ে মুচড়ে রয়েছে বালি বোঝাই লরির পেছনের অংশ। তখনও জ্বলছে রেলের ইঞ্জিন। সম্ভবত পাথরে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়, দাবি রেল কর্তাদের।

তিন বছরে কন্যা সন্তানকে কোলে নিয়ে অভিশপ্ত রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সুমন্ত সরকারকে দেখা যায় আজিমগঞ্জ স্টেশনে। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবা। চার দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছিলেন সপরিবারে। দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে সপরিবারে নিরাপদে আজিমগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছালেও আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে গোটা পরিবার। রবির রাতের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মেয়েকে কোলে নিয়ে সবাই তখন ঘুমের মধ্যে। হঠাৎ করে একটা তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে গেল। ভাগ্য ভাল ট্রেন চালক সঠিক সময়ে ব্রেক কষে ছিলেন। তা না হলে কী যে হত, ভেবে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”

মালদা ডিভিশনের ডিআরএম বিকাশ চৌবে বলেন, “যথেষ্ট সচেতনভাবে ট্রেন চালাচ্ছিলেন চালক। দূরে থেকেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, রেললাইনের উপর কিছু একটা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই আপতকালীন ব্রেক কষেন তিনি। ফলে বড় দুর্ঘটনার এড়ানো সম্ভব হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

farakka Indian Railways
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy