Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
High price of Vegetables

চড়া আনাজের দাম, টাস্ক ফোর্স নিয়ে প্রশ্ন

বাবলু মণ্ডল নামে এক পাইকারি আনাজের কারবারি বলেন, “মরসুমি আনাজের জোগান অনেক কম।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মফিদুল ইসলাম
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৩৩
Share: Save:

উৎসবের মরসুমে চড়া মরসুমি আনাজের দাম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফলের দামও। আনাজের কারবারিদের একাংশের দাবি, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকার কারণেই বেড়েছে আনাজের দাম। অন্য দিকে, আমজনতার একাংশের দাবি, উৎসবের মরসুমে টাস্ক ফোর্স বা প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই বেড়েছে আনাজের দাম।

স্থানীয় বিভিন্ন বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে সাধারণ মানের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। বেগুন, পটল, করলা, কাকরোল, ঢেঁড়স সহ অন্য মরসুমি আনাজের দামও তুলনামূলক ভাবে চড়া। চাষিদের একাংশের দাবি,গত মাস দেড়েকে একাধিক বার ভারী বৃষ্টির কারণে আনাজের ক্ষতি হয়েছে। ফল, ফুল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আনাজের গাছও নষ্ট হয়েছে। রোগ, পোকার আক্রমণের জেরে আনাজের জোগান কমেছে। জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে মরসুমি আনাজের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তা ছাড়া, উৎসবের মরসুমে শহর বা শহরতলির বিভিন্ন বাজারেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত আনাজ পাঠানো হয়। ফলে জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে আনাজের জোগান তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম।

বাজারের অবস্থা

সাধারণ মানের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি।

পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।

কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।

বেগুন, পটল, করলা, কাকরোল, ঢেঁড়স সহ অন্য মরসুমি আনাজের দামও তুলনামূলক ভাবে চড়া।

বাবলু মণ্ডল নামে এক পাইকারি আনাজের কারবারি বলেন, “মরসুমি আনাজের জোগান অনেক কম। ফলে দাম তুলনামূলক ভাবে চড়া।” প্রশান্ত মণ্ডল নামে অপর এক আনাজের কারবারি বলেন, “পেঁয়াজ, রসুন মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে আসছে। যার ফলে পেঁয়াজ, রসুনের দাম চড়া।”

আনাজের দাম আকাশছোঁয়ার কারণে তার আঁচ পড়ছে আম জনতার পকেটে। অন্যদিকে চাষিদের একাংশের দাবি, আনাজের দাম বাড়লেও তাদের পকেট ফাঁকাই। মাঝখানে ফড়ে, মহাজনেরা মুনাফা লুটছেন বলে দাবি চাষিদের একাংশের। আবুল কালাম নামে হরিহরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, “আনাজের দাম কমার লক্ষণ নেই। প্রশাসনের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন হাটে-বাজারে নজরদারি চালানো।”

জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, প্রায়শই বিভিন্ন হাটে-বাজারে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি চালানো হয়। পুজোর ছুটির মাঝে নজরদারি কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে দাবি দফতরের আধিকারিকদের। আমজনতার একাংশের দাবি, টাস্ক ফোর্স বা পুলিশ, প্রশাসনের অভিযান সব বাজারে বিশেষ করে মফসসলের হাটে-বাজারে নিয়মিত হয় না। অনেক জায়গায় অভিযান হলেও প্রশাসনের কর্তারা চলে যেতেই ফের পুরনো দামও ফেরে।

অন্য বিষয়গুলি:

Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy