Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
নিত্য যানজট, গতি আনতে একমুখী হল কৃষ্ণনগরের রাস্তা

বেলা বাড়তে সড়ক ফাঁকা!

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই ওয়ান ওয়ে ব্যবস্থা। সব চাইতে বেশি সমস্যা হত সদর মোড় থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত।

এ দিকে নয়, ও দিকে যাও...। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

এ দিকে নয়, ও দিকে যাও...। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

দাবি দীর্ঘ দিনের। সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের প্রধান রাস্তাগুলিকে একমুখী (ওয়ান-ওয়ে) করা হল। এর ফলে যানজট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে মোটরবাইক ও সাইকেলের ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

ডিএসপি ট্রাফিক রিপন বল বলছেন, “শহরের যে হারে গাড়ির বিশেষ করে টোটো বেড়েছে তাতে এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এতে প্রথম দিকে শহরবাসীদের সমস্যা হতে পারে। আশা করছি শহরের মানুষ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই ওয়ান ওয়ে ব্যবস্থা। সব চাইতে বেশি সমস্যা হত সদর মোড় থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত। এই রাস্তায় প্রায়ই যানজট হত। এ দিন থেকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হওয়ায় মূল রাস্তাঘাট ছিল বেশ ফাঁকা।

প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন নিয়মে সিএসএস স্কুল থেকে সদর মোড় হয়ে পোস্টঅফিস মোড় হয়ে ঝাউতলা বা পুরসভার মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ড আসা যাবে। আবার পুরসভার মোড় থেকে এভি স্কুলের মোড় হয়ে নেদেরপাড়া মোড় হয়ে সদর হাসপাতালের পিছন দিয়ে সিএমএস স্কুলে যাওয়া যাবে। শহরের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় যে সব গলি এসে উঠছে কোন গাড়ি সেই গলি থেকে বেরিয়ে ডান দিকে যেতে পারবে না। সে জন্য ফ্লেক্স লাগানো হবে। মোড়ে মোড়ে রাখা হবে ‘নো-এন্ট্রি’ বোর্ড। প্রতিটা গলির মুখে এক জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। সে কারণে নবদ্বীপ থানা থেকে পাঁচ জন, তেহট্ট থানা থেকে ১০ জন, নাকাশিপাড়া থানা থেকে ১৫ জন ও কালীগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত একজন এএসআই নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়াও এক জন করে কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’টো পর্যায়ে তা সামলাবেন ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা। এ ছাড়া শহরের বাইরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাদকুল্লা মোড় থেকে দ্বিজেন্দ্রলাল সেতু ছাড়িয়ে বাহাদুরপুর পর্যন্ত আটটি জায়গায় যান চলাচল নিয়য়ন্ত্রণ করার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি এক জন করে কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ২২টি ‘ম্যানপ্যাক’ যন্ত্র। শুধু মাত্র কৃষ্ণনগর শহরের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা

কন্ট্রোল রুম।

শহরের বাসিন্দা মহিতোষ বিশ্বাস, মিলন সরকাররা বলছেন, “ট্রাফিক পুলিশের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। তবে এটাও দেখতে হবে যেন ক’দিন পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে না যায়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Road Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy