নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হই আন্দোলনের জন্য। শুক্রবার দুপুর বারোটায় এসএসসি ভবন ঘেরাও এবং পরে সারা রাত এসএসসি ভবনের সামনেই আমরা শিক্ষকেরা রাত কাটিয়েছি। শনিবারও আমরা ধর্মতলায় শহিদ মিনারের কাছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্নামঞ্চে বসেছি। যত দিন পর্যন্ত না আমরা পুনরায় চাকরিতে নিযুক্ত হচ্ছি, তত দিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। শুক্রবার এসএসসি ভবনের সামনে রাত কাটাতে গিয়ে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। খোলা আকাশের নীচেই শুয়েছি। আমাদের সঙ্গে থাকা শিক্ষিকাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে শিক্ষকেরা ধাপে-ধাপে রাত জেগেছি। শরীরে যতটা খাবার প্রয়োজন, সবাই হয়তো সেটুকুও খাচ্ছি না। খেতে হলে আমাদের অনেক দূরে হেঁটে যেতে হচ্ছে। আশেপাশে কোনও সুলভ শৌচালয় না থাকায় আমাদের সমস্যা আরও বাড়ছে। যত দিন না আমরা পুনরায় চাকরিতে নিযুক্ত হব, আন্দোলন চলবে।
(অনুলিখন: অমিতকুমার মণ্ডল)
হুগলির গোয়াই রামচন্দ্র পাল ইনস্টিটিউশন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকরিহারা শিক্ষক
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)