প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে গর্ভস্থ শিশুর। তার ফলে সঙ্কটজনক অবস্থা হয়েছে প্রসূতির। এই অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধল নদিয়ার রানাঘাটের একটি নার্সিংহোমে। রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
রানাঘাটের বাসিন্দা পূজা রায়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, পূজা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসা করছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপম বিশ্বাস। অভিযোগ, পূজার গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। তা জানা সত্ত্বেও চিকিৎসক বিষয়টি পূজাকে বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাউকে জানাননি। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি পূজা পেটে ব্যথা অনুভব করেন। এর পর আলট্রাসোনোগ্রাফি করে দেখা যায়, তাঁর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আগেই। এর পর অস্ত্রোপচার করে গর্ভস্থ শিশুকে বার করা হয়। বর্তমানে পূজাকে ভর্তি করানো হয়েছে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। এ নিয়ে সোমবার নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। অভিযোগ, নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানাঘাট থানার পুলিশ। পম্পা রায় নামে পূজার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘অনেক দিন আগেই গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাতে চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল। সেই তথ্য গোপন করে দিদিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন চিকিৎসক। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
অভিযুক্ত চিকিৎসক অনুপমের দাবি, ‘‘ওই মহিলার নানা জটিলতা ছিল। শিশুর মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এটা মানতে হবে। গাফিলতির কোন প্রশ্নই ওঠে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy